Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নিকাশির উন্নয়নে জোর সংযুক্ত এলাকায়

সল্টলেক পরিকল্পিত হলেও সংযুক্ত এলাকায় পরিকাঠামো বলতে কিছুই ছিল না। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল নিকাশি ব্যবস্থার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৯৫ সালে বিধাননগর পুরসভা গঠনের পর থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে অনেক।

কাজল গুপ্ত
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০০:২৫
Share: Save:

সল্টলেক পরিকল্পিত হলেও সংযুক্ত এলাকায় পরিকাঠামো বলতে কিছুই ছিল না। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল নিকাশি ব্যবস্থার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৯৫ সালে বিধাননগর পুরসভা গঠনের পর থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে অনেক। কিছু কাজ হয়েছে, কিন্তু বহু সমস্যা মেটেনি আজও। তবে দেরিতে হলেও নড়ে বসেছে পুরসভা। সূত্রের খবর, সংযুক্ত এবং পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলির নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজার পরিকল্পনা করেছে পুরসভা। একটি ওয়ার্ডে নিকাশি প্রকল্পের কাজ চলছে। সেই প্রকল্পকে মডেল করে বিভিন্ন সংযুক্ত এলাকায় ওই কাজ করার চিন্তাভাবনা করছে পুরসভা।

বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, পিছিয়ে পড়া এলাকায় পরিকাঠামো কিছুই নেই। অথচ এলাকায় একের পর এক বহুতল গড়ে উঠছে। ফলে নিকাশির অবস্থা দিনদিন আরও খারাপ হচ্ছে। তাই সুসংহত পরিকল্পনা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে বিধাননগরের পুরকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, সেই অভিজ্ঞতার নিরিখেই নিকাশি
নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। শুরু হয়ে গিয়েছে কাজও।

যেমন, বিধাননগর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ড সংযুক্ত এলাকা। এই ওয়ার্ডে মহিষবাথানে একটি স্কুলের সামনে থেকে কেষ্টপুর খাল পর্যন্ত কাজ চলছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা খরচ হবে এই প্রকল্পে। অথচ এই এলাকাতেই আগে কেএমডিএ-র সহায়তায় খোলা নর্দমা তৈরি করেছিল পুরসভা। বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, নর্দমার উপরে মোটা স্ল্যাব বসানো হয়েছিল। কিন্তু ওই এলাকায় দিয়ে ভারী ট্রাক চলাচল করে। তার চাপে স্ল্যাব যেত ভেঙে। সেখানে জল আর আবর্জনা জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হতো।

পাশাপাশি পুর প্রশাসনের একাংশের কথায়, ভূমির ঢাল ও কারিগরি ত্রুটির জেরে সব এলাকায় ওই নর্দমাগুলিতে জল পৌঁছতো না। ফলে আবর্জনা জমে অনেক জায়গাই রুদ্ধ হয়ে থাকত। পরে সেই নর্দমা পরিষ্কার করতে হিমশিম খেতে হতো পুরকর্মীদের। আর ময়লা ও জল জমে থাকায় এই নর্দমাগুলি মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু নর্দমার উপরে স্ল্যাব বসানো থাকায় সেখানে মশার তেল স্প্রে করতেও বেশ সমস্যায় পড়তে হতো পুরকর্মীদের।

সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এখন এলাকার খোলা নর্দমা বন্ধ করা হচ্ছে। বদলে মাটির তলায় পাইপ বসানোর কাজ চলছে। সেটি নিকাশির কাজ করবে। মাঝে মাঝে ম্যানহোলের মতো অংশ রাখা হচ্ছে। যাতে নর্দমা পরিষ্কার করার কাজে পুরকর্মীদের আর কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়। বাণীব্রতবাবুর দাবি, গোটা ওয়ার্ডেই এই প্রকল্প কার্যকর করে দীর্ঘদিনের নিকাশি সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চালানো হবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘এই পুরসভায় একাধিক পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ড রয়েছে। ওই সব ওয়ার্ডগুলিতে সার্বিক ভাবে পরিকাঠামো সংস্কার কার নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। সেখানে এই নিকাশি প্রকল্পকে মডেল করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Drainage System Bidhannagar Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE