Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

ব্লকের কমিউনিটি হল থেকে মাঠে পুজো সরাতে চেয়েছিলেন সল্টলেক এফসি ব্লকের উদ্যোক্তারা। মাঠ নষ্ট হওয়ার যুক্তিতে পুরসভার অনুমতি না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ব্লকের আবাসিক সমিতি। সম্প্রতি পুরসভার অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশ খারিজ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অন্তবর্তিকালীন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে পুরসভার সিদ্ধান্ত আদালতে জানাতে বলা হয়েছে। চল্লিশ দিন পেরোলেই পুজো।

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ০২:১৬
Share: Save:

সল্টলেকে পুজো-মামলা
নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্লকের কমিউনিটি হল থেকে মাঠে পুজো সরাতে চেয়েছিলেন সল্টলেক এফসি ব্লকের উদ্যোক্তারা। মাঠ নষ্ট হওয়ার যুক্তিতে পুরসভার অনুমতি না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ব্লকের আবাসিক সমিতি। সম্প্রতি পুরসভার অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশ খারিজ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অন্তবর্তিকালীন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে পুরসভার সিদ্ধান্ত আদালতে জানাতে বলা হয়েছে। চল্লিশ দিন পেরোলেই পুজো। তার মধ্যে এই পরিস্থিতিতে পুজোর জায়গা নিয়ে ঘোর শঙ্কায় উদ্যোক্তারা। অন্যতম উদ্যোক্তা শুভাশিস ঘোষ বলেন, “এটা কোনও দ্বন্দ্বের বিষয় নয়। আদালতের অন্তবর্তিকালীন নির্দেশের পরে আশা করি পুর-কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের আবেগকে প্রাধান্য দিয়ে অনুমতি দেবেন।” পুর-কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, তাঁরা এখনও আদালতের নির্দেশ হাতে পাননি। চেয়ারম্যান পারিষদ অনুপম দত্ত বলেন, “আমরাও চাই পুজো হোক। মাঠও বাঁচাতে হবে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। বিষয়টি যেহেতু আদালতের বিচারাধীন, তাই আদালত যে ভাবে বলবে, সে ভাবেই এগোতে হবে।” ব্লক সমিতির আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, “ব্লকে একটিই পার্ক ও খেলার মাঠ। সেখানেই বাসিন্দারা পুজো করতে চেয়েছিলেন। পুরসভার অনুমতি মেলেনি। অথচ সল্টলেকের অনেক পুজোই ওই রকম মাঠেই হয়।” আবাসিক সমিতির তরফে খবর, আদালতে তাঁরা জানিয়েছেন যে, ক্রিকেটের পিচ বাঁচিয়েই পুজো হবে। পুজোর পরে মাঠ আগের অবস্থায় ফিরিয়েও দেওয়া হবে।

অভিযুক্ত বিড়াল, হতভম্ব পুলিশ

ঢাকুরিয়ায় একটি বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ দায়ের হল লেক থানায়। তবে সেই অভিযোগ কোনও সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। তা দায়ের হয়েছে এক দল বিড়াল এবং তাদের পশুপ্রেমী মালকিনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জেরে আতঙ্কে ওই এলাকার বাসিন্দারা থানার দ্বারস্থ হলেও রীতিমতো দিশেহারা পুলিশও। কারণ, আইনত বিড়াল বাহিনীকে গ্রেফতার করা যায় না। আর বিড়ালের মালিক পশুপ্রেমী হওয়ায় তাঁকেও বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়েই দায় সেরেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ১২ জুলাই ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা অনিন্দ্য দাস এবং তাঁর স্ত্রী থানায় অভিযোগ করেন, দু’বছর ধরে পড়শি রেশমী রায়ের বিড়াল বাহিনীর তাণ্ডবে বাড়িতে টেকা দায় হয়েছে। ১২ তারিখ একটি বিড়াল তাঁদের বাড়িতে ঢুকলে পরিচারিকা সেটিকে তাড়াতে তার গায়ে জল দেন। অভিযোগ, এর পরেই রেশমীদেবী রেগে গিয়ে অনিন্দ্যবাবুর বাড়ি এসে তাঁর অসুস্থ বৃদ্ধা মায়ের ঘরে জোর করে ঢুকতে যান। অনিন্দ্যবাবুর স্ত্রী এগিয়ে গেলে রেশমীদেবী তাঁকে ধাক্কা মারেন, তাঁর জামাকাপড় ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ। এর পরেই থানায় অভিযোগ হয়। ততক্ষণে পাল্টা অভিযোগ জানাতে থানায় পৌঁছে যান রেশমীদেবীও। তাঁর অভিযোগ, কুকুর, বিড়াল তাঁর বাড়িতে থাকে। পড়শিরাই তাঁকে ও তাঁর পোষ্যদের মারধর করেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে অভিযোগ নিলেও পুলিশ পড়েছে বিপাকে। কারণ, বিড়ালের মালিক পশুপ্রেমী এবং তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান। অন্য দিকে, এলাকাবাসীরা সই-সাবুদ জোগাড় করে অভিযোগ করেছেন। ফলে বিড়ালবাহিনীকে কী ভাবে সামলানো যায়, লেক থানার পুলিশের কপালে এখন সেই চিন্তা।

ভেঙে পড়ল থানার বারান্দা

থানার মধ্যে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। হঠাৎ বিকট আওয়াজ। চমকে গিয়ে ওই পুলিশকর্মীরা দেখলেন, তাঁদের পাশেই ভেঙে পড়েছে বাড়ির দোতলার বারান্দার একাংশ। মঙ্গলবার দুপুরে যাদবপুর থানার ঘটনা। অল্পের জন্য রক্ষা পান ওই পুলিশকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘকাল ধরে ভবনটির সংস্কার না হওয়াতেই এই ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকর্মীদের এক জন বলেন, “আওয়াজে তাকিয়ে দেখি থানার দোতলার বারান্দার একটা অংশ ভেঙে পড়ে রয়েছে। রোদ থাকলে আমরা ওই বারান্দার নীচেই দাঁড়াই। আজ মেঘলা থাকায় বাইরে ছিলাম। তাই রক্ষা।” পুলিশকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, যাদবপুর থানার ভবনটি বহু পুরনো। ২০১১-এ ওই থানা কলকাতা পুলিশের অধীনে আসার পর শুধু বাইরে নীল-সাদা রং হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার ভবনের জীর্ণ দশার, বাড়ির দেওয়ালে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরার কথা জানানো হয়েছে। লাভ হয়নি তাতে। থানা সূত্রের খবর, সম্প্রতি ফাটলের জন্য ভবনটির একটি অংশ ভেঙে দিয়েছিল পূর্ত দফতর। তার পরেও কলকাতা পুলিশের কর্তারা ভবনটির সংস্কারে উদ্যোগী হননি বলে অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র অবশ্য বলেন, “আমরা বিষয়টি দেখছি।”

অবৈধ দোকান ভাঙল পুরসভা

বেহালা এসি মার্কেট লাগোয়া দেওয়ালে বেআইনি ভাবে তৈরি ২২টি দোকান মঙ্গলবার সকালে ভেঙে দিল পুরসভা। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, মাসখানেক আগে ওই সব দোকান গড়ে ওঠে। তখনই সেগুলি ভেঙে ফেলতে বলা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরকে। কিন্তু তা হয়নি বলে পুরসভা সূত্রের খবর। এর কারণ জানতে চেয়ে এ দিন পুর-কমিশনারকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন মেয়র। সোমবার রাতে ওই বাজারে গিয়েছিলেন মেয়র। দোকানগুলি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে রাতেই পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ ও মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহকে ডেকে পাঠান তিনি। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। তার পরেই দোকানগুলি ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে ওই দোকানদারদের বক্তব্য, “এমন আরও অনেক বেআইনি দোকান রয়েছে শহরের বিভিন্ন মার্কেটে। তাদের ক্ষেত্রে পুর প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা আমরাও দেখব।”

পথ দুর্ঘটনা, মৃত্যু

রাস্তা পেরোতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মহিলার। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ, লেকটাউনের বি ব্লকে বিবেকানন্দ পার্কের কাছে। মৃতার নাম প্রিয়ম কপূর (৪২)। পুলিশ জানায়, ২১৫/১ রুটের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রিয়মকে ধাক্কা মারে। বাসের পিছনের চাকা তাঁর উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয়দের অভিযোগ, লেকটাউনের বি ব্লকের কাছে রাস্তা বেহাল। তার মধ্যেই বাসগুলি বেপরোয়া গতিতে যাতায়াত করে। ট্রাফিক পুলিশ প্রায়শই থাকে না। পুলিশ বাসটিকে আটক করলেও চালক পলাতক।


শহরে রানি মুখোপাধ্যায়। এসেছেন নিজের ছবির প্রচারে। মঙ্গলবার, সেন্ট জেভিয়ার্সে। ছবি: রণজিৎ নন্দী


কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের স্টাফ কোয়ার্টার্সে বেআইনি দখলদারি রুখতে মঙ্গলবার অভিযান
চালায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতা পুলিশ। বেআইনি দখলদার থাকার অভিযোগে
৪০০রও বেশি ঘর সিল করে দেওয়া হয়। বিশ্বনাথ বণিকের তোলা ছবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE