Advertisement
০৯ মে ২০২৪

টুকরো খবর

নিয়মিত অভিযান চালিয়েও রেশন মালিকদের একাংশের সচেতনতা ফেরানো যাচ্ছে না। কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হলে রেশন দোকানের মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী, প্রয়োজনে তাঁদের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রাহকদের থেকে অভিযোগ পেয়ে রবিবার সকালে খাদ্যমন্ত্রী চারটি রেশন দোকান পরিদর্শনে যান।

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১০
Share: Save:

রেশন দোকান ঘুরলেন মন্ত্রী, আটক বহু নথি

নিজস্ব সংবাদদাতা

নিয়মিত অভিযান চালিয়েও রেশন মালিকদের একাংশের সচেতনতা ফেরানো যাচ্ছে না। কারচুপির অভিযোগ প্রমাণিত হলে রেশন দোকানের মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী, প্রয়োজনে তাঁদের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রাহকদের থেকে অভিযোগ পেয়ে রবিবার সকালে খাদ্যমন্ত্রী চারটি রেশন দোকান পরিদর্শনে যান। সকাল আটটা নাগাদ প্রথমে মন্ত্রী যান সল্টলেকের বৈশাখীতে একটি রেশন দোকানে। দেখা যায়, ওই দোকানে ১৬০০ লিটার কেরোসিন তেল বরাদ্দ। কিন্তু তার মধ্যে ১৪০০ লিটার তেলই বেশি দামে বাইরে বিক্রি করা হয়েছে। এর পরে খাদ্যমন্ত্রী ঘোরেন সিএপি ক্যাম্প, দত্তাবাদ এবং বেলেঘাটার আরও তিনটি রেশন দোকানে। সেখানেও কার্যত একই ছবি। বরাদ্দের ৯০% তেল গ্রাহককে না দিয়ে প্রায় তিন গুণ চড়া দামে বাইরে বিক্রি করেছেন দোকান-মালিক। জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানিয়েছেন, দোকান মালিকদের থেকে সব নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখে দোষ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুই বাসের টক্করে পিষ্ট স্কুলছাত্র

পথে এখন নিয়ম ভাঙার সাঁড়াশি চাপ। এক দিকে বাসচালকদের রেষারেষি তো অন্য দিকে নিয়ম ভেঙে পথচারীদের রাস্তা পারাপার। হাজারো সচেতনতা-প্রচারেও বিধি লঙ্ঘনের মানসিকতার বদল ঘটছে না। সেই অনিয়মের বলি হল ১৪ বছরের স্কুলপড়ুয়া জিষ্ণু রায়। পুলিশ জানায়, জিষ্ণু দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। বাড়ি নেতাজিনগরে। শনিবার যাদবপুর থানার মোড়ে ওই গল্ফগ্রিন-মধ্যমগ্রাম রুটের একটি বাস তাকে ধাক্কা মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় জিষ্ণুকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিত্‌সকেরা ওই স্কুলছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মা আনতে যেতে না-পারায় টিউশন থেকে একাই বাড়ি ফিরছিল জিষ্ণু। যাদবপুর থানার সামনে রাস্তা পেরোতে গিয়ে দু’টি বাসের মধ্যে পিষ্ট হয়ে যায় ওই কিশোর। পুলিশি সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার সময় যাদবপুর ওই মোড়ের সিগন্যাল খোলা ছিল। বাস দু’টিও বেশ কিছু ক্ষণ ধরে রেষারেষি করছিল। পরে একটি বাসকে আটক করে পুলিশ। তার চালক পলাতক। অন্য বাসটির খোঁজ চলছে। রবিবার দুপুরে ওই কিশোরের আত্মীয়স্বজন মৃতদেহ শনাক্ত করেন। বিকেলে সেটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আলো জ্বলছে না। এলাকার বাসিন্দারা জানান, জিষ্ণুর দেহ নিয়ে পরিবারের লোকজন আজাদগড়ের একটি বাড়িতে গিয়েছেন। শোকস্তব্ধ বাড়িতে কথা বলতে চাননি কেউই।

ক্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু

ক্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক কর্মীর। শনিবার, দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায়। মৃতের নাম শেখ ইন্তেজার আহমেদ (২৮)। পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ক্রেন দিয়ে মাল নামানোর কাজ চলছিল। ইন্তেজার ক্রেনের উপরে ছিলেন। চালক আচমকা ক্রেনটি চালিয়ে দেওয়ায় তিনি পড়ে যান। রবিবার একবালপুরের এক নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় ইন্তেজারের। ক্রেনের চালক পলাতক।

ছিনতাই, ধৃত ১

কলকাতার কয়েক জন পর্যটককে মারধর করে টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক দুষ্কৃতী গ্রেফতার হল। শনিবার, কুলতলি থেকে। উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া জিনিস। পুলিশ জানায়, শনিবার অচিন মজুমদার, সুজয় সেন, সঞ্জীব সেনগুপ্ত ও দীপ মুখোপাধ্যায় নামে চার যুবক কুলতলি গিয়েছিলেন। বিকেলে তাঁরা নদীর ধারে ঘুরতে যান। সেখানেই চার-পাঁচ জনের এক দুষ্কৃতী দল তাঁদের মারধর করে ৬টি মোবাইল-সহ সাড়ে সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

গুদামে আগুন

আগুন লাগল বড়বাজারের একটি কাপড়ের গুদামে। রবিবার, হরিরাম গোয়েন্কা স্ট্রিটে। দমকল সূত্রে খবর, বন্ধ গুদামটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয়েরাই দমকলে খবর দেন। চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই বিপত্তি।

কুমির ডাঙায়: হস্তশিল্প মেলায় দোকান সাজাতে ব্যস্ত বিক্রেতা।
রবিবার, মিলন মেলা প্রাঙ্গণে। ছবি: সুমন বল্লভ

কলকাতার এক অনুষ্ঠানে গান গাইছেন বীরভূমের বাউলরা।
একতারা হাতে নিমাই খ্যাপা। রয়েছেন তারক দাস ও উত্তম বাউল।—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE