Advertisement
০৯ মে ২০২৪

মঙ্গলাহাটের হাল ঘুরে দেখল কমিটি

ছ’তলা বাড়ি। অথচ আগুন নেভানোর জন্য রয়েছে একটি চৌবাচ্চা। দেওয়ালে অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রগুলি মেয়াদ-উত্তীর্ণ। ছাদ থেকে ঝুলছে গোছা গোছা বৈদ্যুতিক তার ও বোর্ড। প্রতিটি তল দাহ্য বস্তুতে ঠাসা। স্প্রিঙ্কলার থাকলেও জল পড়ে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪৬
Share: Save:

ছ’তলা বাড়ি। অথচ আগুন নেভানোর জন্য রয়েছে একটি চৌবাচ্চা। দেওয়ালে অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রগুলি মেয়াদ-উত্তীর্ণ। ছাদ থেকে ঝুলছে গোছা গোছা বৈদ্যুতিক তার ও বোর্ড। প্রতিটি তল দাহ্য বস্তুতে ঠাসা। স্প্রিঙ্কলার থাকলেও জল পড়ে না।

বসত বাড়ি নয়। এই ছবি এশিয়ার বৃহত্তম হাট, হাওড়ার নিত্যধন মুখার্জি লেনে মঙ্গলাহাটের একটি বাড়িতে। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে এমনটাই দেখলেন হাওড়া হাট উন্নয়ন ও স্থানান্তকরণ কমিটির সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, বেআইনি ভাবে তৈরি বাড়িটির প্রবেশপথ ১২ ফুট চওড়া হলেও ভিতরে তা ৮ ফুট হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি স্টলের মাঝখানের সরু রাস্তায় দু’জনের বেশি চলা যায় না।

জুনে হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলাহাটকে নতুন করে সাজাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মেয়র রথীন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তৈরি হয় হাওড়া হাট উন্নয়ন ও স্থানান্তকরণ কমিটি। কমিটিতে মেয়র ছাড়াও আছেন জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাস, সিপি দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ-সহ প্রশাসনিক আধিকারিক ও পুরসভার কর্তারা। এ দিন কমিটির সদস্যেরা বাড়ি ঘুরে মেয়রকে প্রাথমিক রিপোর্ট দেন।

মেয়র বলেন, ‘‘একটি বাড়িই নয়, সোম ও মঙ্গলবার হাট বসে এমন অধিকাংশ বাড়িতেই অগ্নি-নির্বাপণের ন্যূনতম ব্যবস্থা নেই। আমরা সব খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেব।’’ যদিও ওই হাটের মালিক বেদান্ত শবক বলেন, ‘‘আমাদের হাটের বাড়ি পুরসভার নিয়ম মেনে হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE