প্রতীকী ছবি।
রাস্তার মাঝখানে অটো থামিয়ে যাত্রী তুলছিলেন চালক। তা দেখে চালককে ‘কেস’ দিয়েছিলেন কর্তব্যরত ট্র্যাফিক সার্জেন্ট। এরই ‘বদলা’ নিতে ওই চালক উল্টে সার্জেন্টের বিরুদ্ধেই মারধরের অভিযোগ আনলেন। এতেই শেষ নয়। বাকি চালকদের জড়ো করে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডের সামনে পথ অবরোধ করে রাখলেন প্রায় দেড় ঘণ্টা। এর জেরে তীব্র যানজটের কবলে পড়ল রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোড। নাকাল বলেন অফিসযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ন’টা নাগাদ গোলপার্ক-গড়িয়া রুটের একটি অটো যাদবপুরের সুলেখা মোড়ের কাছে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছিল। কর্তব্যরত সার্জেন্ট নো-পার্কিং জোনে অটো দাঁড় করানোর জন্য চালককে জরিমানা করেন। পুলিশ সুত্রের খবর, এর পরেই ১২টা নাগাদ গড়িয়া-গোলপার্ক রুটের একাধিক অটো ৮বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে দাঁড় করিয়ে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চালকেরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ওই ট্র্যাফিক সার্জেন্ট চালককে চড় মেরেছেন। খবর পেয়ে যাদবপুর থানা থেকে পুলিশবাহিনী এলে দুপুর দেড়টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নো-পার্কিং জোনে অটো থামিয়ে যাত্রী তোলার অভিযোগ নতুন নয়। বিশেষত গড়িয়া-গোলপার্ক রুটের অটোচালকেরা প্রায়ই গোলপার্ক থেকে যাদবপুরের মধ্যে রাস্তার মাঝখানে যেখানে-সেখানে অটো থামিয়ে যাত্রী তোলেন বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাস্তার মাঝখানে অটো থামিয়ে যাত্রী তোলা বেআইনি। কর্তব্যরত সার্জেন্ট আইন ভাঙার দায়ে অটোচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকলে আমি বলব, উনি ঠিকই করেছেন।’’ একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘চালকেরা যে ভাবে ৮বি বাসস্ট্যান্ডের সামনে অটো দাঁড় করিয়ে অবরোধ করেছেন, তা বরদাস্ত করা যায় না। অবরোধকারীরা আমাদের দলের লোক হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘অটোচালকের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy