রাজ্য সরকার অনুমতি দেয়নি। কেন অনুমতি দেওয়া হয়নি, তা-ও যথাযথ ভাবে জানায়নি আদালতকে। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার অধ্যক্ষ-পদের কাউন্সেলিংয়ে বসলেন তিন জন কলেজ শিক্ষক। তাঁদের ওই কাউন্সেলিংয়ে বসার ব্যবস্থা করতে হবে বলে এ দিনই সকালে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত।
ওই শিক্ষকদের আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, কলকাতার যোগেশচন্দ্র আইন কলেজ ও মুরলীধর গার্লস কলেজ এবং বর্ধমানের ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ওই তিন শিক্ষক ২০০৯ সালে রিডার হন। এক্রামুলের দাবি, তিন
বছর রিডার-পদে থাকলে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা অধ্যক্ষ হতে পারেন। ওই তিন শিক্ষক রিডার হিসেবে প্রায় ছ’বছর পড়িয়েছেন। সেই জন্য তিন জনেই অধ্যক্ষ-পদের জন্য কলেজ সার্ভিস কমিশনে আবেদন জানান এবং প্যানেলভুক্তও হন।
তিন রিডার কোন কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেবেন, বুধবার তার কাউন্সেলিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত সোমবার পর্যন্ত রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে ওই তিন জনের কাছে অধ্যক্ষ-পদের কাউন্সেলিংয়ে বসার অনুমতি পৌঁছয়নি। অগত্যা তিন জনেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মঙ্গলবার, মামলাটির প্রথম শুনানির দিন বিচারপতি দত্ত নির্দেশ দেন, বুধবার সকালে রাজ্য সরকারকে তাদের বক্তব্য পেশ করতে হবে।
এক্রামুল জানান, এ দিন সরকার পক্ষের আইনজীবী ওই তিন রিডার সম্পর্কে রাজ্য সরকারের বক্তব্য যথাযথ ভাবে পেশ করতে পারেননি। বিচারপতি দত্ত শেষ পর্যন্ত কলেজ সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, ওই
তিন রিডারকে কাউন্সেলিংয়ে বসতে দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশ এ দিন বেলা ১২টার আগেই কমিশন-কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিতে বলেন বিচারপতি দত্ত। কী কারণে রাজ্য সরকার ওই তিন রিডারকে অধ্যক্ষ-পদে কাউন্সেলিংয়ে বসার অনুমতি দেয়নি, সেই ব্যাপারে চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী জুনে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।
বিচারাধীন বিষয় বলে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের কেউ এ দিন এই বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। তবে দফতরের একটি সূত্রের খবর, কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞাপনের সময় অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য জরুরি শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না ওই তিন জনের। তাই তাঁদের কাউন্সেলিংয়ে বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা হলে আদালত কী করে ওই নির্দেশ দিল, তার কোনও সদুত্তর নেই দফতরের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy