কোথাও কারি-কষা, কোথাও কাবাব-রোস্ট-রোলই ইউএসপি।
গরগরে হাঁসের মাংসের কষায় খুদে রসগোল্লার মতো কোয়েলের ডিমের ছড়াছড়ি। কিংবা টার্কির থকথকে সাদা কাইয়ে ডিমভাজার ছায়া!
নানা কিসিমের ছক ভাঙা মাংসের স্বাদই এখন সরকারি নিগমের টেক্কা। হরিণঘাটার খামারের টার্কি, কোয়েল, হাঁসের মাংস জনপ্রিয় করতে মরিয়া রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগম। নানা বিপণিতে ফ্রোজেন মাংস বিক্রি চলছেই! সরকারি উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে রেস্তোরাঁর ব্র্যান্ডিং-এর ধূম লেগেছে।
‘‘চেখে ভাল লাগলেই এ সব মাংস লোকে কিনবে,’’ বলছেন নিগমের এমডি গৌরীশঙ্কর কোনার। বাঙালির জিভে সহনীয় রান্নার কসরতে তাই সুরভিত ‘ডাক ডাকবাংলো’, পাটিয়ালা বা গন্ধরাজ টার্কি কিংবা তন্দুরি কোয়েল। টার্কি, হাঁস, কোয়েলের (বটের বা তিতির) সঙ্গে হরিণঘাটার চিকেনও ব্রাত্য নয়। ছাগল ও ভেড়ার মাংসও থাকছে। নিগমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি রেস্তোরাঁ-ব্র্যান্ডটির নাম ক্যাভিয়ার। বাঁধা মেনুর রান্না মাংস বা থালি আস্বাদ ছাড়া ফ্রোজেন মাংস কেনারও সুব্যবস্থা সেখানে।
সল্টলেকে ১৬ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে ক্যাভিয়ার-এর প্রথম রেস্তোরাঁটি চলছে জুন থেকে। লাভও হচ্ছে ক্রমশ। গাঙ্গুলিবাগানে নতুন রেস্তোরাঁ খোলার কথা শীঘ্র। আজ, শনিবার পাটুলিতে ক্যাভিয়ারের দু’টি খুদে সংস্করণ খুলবে। হাওড়া ও আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের অফিস চত্বরেও হরিণঘাটার মাংসের পদ মেলে। নিগম সূত্রে খবর, জেলায় জেলায় এমন রেস্তোরাঁ চলবে ক্যাভিয়ার-এর নামেই। আলিপুর, হাওড়া ছাড়া দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মালদহ, আলিপুরদুয়ার ও বীরভূমের বোলপুরে নিগমের রেস্তোরাঁর জায়গা ঠিক হয়েছে।
নিগম জায়গা ও হেঁসেলের কিছু পরিকাঠামো দিচ্ছে। মাংস কিনতে হবে হরিণঘাটা থেকে। মাসের ভাড়া, লাইসেন্স ফি, বিক্রির সামান্য ভাগ দিতে হবে নিগম কর্তৃপক্ষকে। আগ্রহপত্রের ভিত্তিতে কারা এই রেস্তোরাঁ ব্র্যান্ড সামলাবে ঠিক হবে। নিগমের এক কর্তার কথায়, ‘‘স্থানীয়দের কাজের সুযোগ দেওয়াও লক্ষ্য।’’ পাটুলিতে কর্মীদের সড়গড় করতে নিগমই তালিম দিচ্ছে।
কোথাও কারি-কষা, কোথাও কাবাব-রোস্ট-রোলই ইউএসপি। মাছ, নিরামিষ থাকলেও মাংসই মুখ্য চরিত্র। তা প্রধানত মাংসের রেস্তোরাঁর নাম দুর্লভ মাছের ডিমের (ক্যাভিয়ার) নামে কেন রাখা হল? কর্তারা বলছেন, নামে কী আসে যায়! ক্যাভিয়ার মানেই তো স্বাদ-উৎকর্ষের শেষ কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy