‘দেশ’ পত্রিকার নতুন ডিজিটাল সংস্করণের সূচনায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং দেবশঙ্কর হালদার। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।
www.desh.co.in— টাইপ করতেই কম্পিউটারের পর্দায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়দের পুরনো গল্প।
ডিজিটাল ‘দেশ’ পত্রিকা এ বার সকলের জন্যই। শুক্রবার বিকেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ ঘটল তার। সূচনা করলেন শীর্ষেন্দুবাবু ও নাট্যব্যক্তিত্ব দেবশঙ্কর হালদার।
এর আগেও বাংলার বাইরে নেটে ‘দেশ’ পড়তে পারতেন গ্রাহকেরা। এ বার সবার জন্যই নেট-সংস্করণ সেজে উঠছে। তবে মুদ্রিত ‘দেশ’ পত্রিকার হুবহু পাঠ নয়। নতুন সাজের ডিজিটাল ‘দেশ’ যেন একটি সমান্তরাল ‘ভুবনে’র উপহার। সমসাময়িক বিষয়, পুস্তক সমালোচনা, শিল্প-সংস্কৃতির খবর, খেলাধূলো, বিজ্ঞানবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে কার্টুনের সম্ভার— সব কিছুই মুদ্রিত ‘দেশ’ পত্রিকার থেকে আলাদা। ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই যা নিখরচায় পড়া যাবে।
‘‘মনে হচ্ছে, দুটো ‘দেশ’-এর জন্ম হচ্ছে। পেশাদার প্রতিযোগিতার মধ্যে দু’জনেই দু’জনকে এগিয়ে দেবে।’’— বললেন ‘দেশ’-এর ‘ঘরের লোক’ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, এই পত্রিকায় যাঁর প্রথম গল্পটি ছাপা হয়েছিল অর্ধ শতকেরও আগে। ছাপানো পত্রিকা বনাম ডিজিটাল সংস্করণ—এই টক্করে নতুন যুগের মাধ্যমের হয়েই জোর গলায় সওয়াল করলেন সময়ের সঙ্গে এগিয়ে চলায় বিশ্বাসী প্রবীণ লেখক। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন-পর্বে দেবশঙ্করবাবুকে তিনিই দেখিয়ে দিলেন, ওয়েবসাইটটি কী ভাবে খুলতে হবে।
ডিজিটাল ‘দেশ’-এর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ পুরনো লেখার আর্কাইভ বা ‘দেশ’ পত্রিকার আট দশকের উত্তরাধিকার। দেবশঙ্করের মতে, যা ক্রমশ বাঙালির মননগত কৌলীন্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। তবে নেটে এ সব দেখতে বার্ষিক গ্রাহক হওয়া প্রয়োজন। ‘দেশ’-এর সম্পাদক হর্ষ দত্ত জানালেন, মুদ্রিত ‘দেশ’ পত্রিকার সব লেখা নেটে পড়তে হলেও গ্রাহক হতে হবে। সংখ্যাপিছু বা ছ’মাসের বা এক বছরের গ্রাহক হতে পারেন। হকারের স্টলে কিনে ‘দেশ’ পড়ার থেকে অনলাইন ক্রেতার খরচ সামান্য বেশি।
তবে ক্লিক করলেই দেখা যাবে এমন প্রতিবেদনও ‘দেশ’-এর ওয়েবসাইটে নেহাত কম নয়। বইয়ের খবরাখবরে সমৃদ্ধ ‘বইয়ের দেশ’-এর অনেকটাই নিখরচায় নেটে দেখা যাবে। ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ফেসবুকেও চলবে ‘দেশ’-এর সফর। ‘‘আমার সদ্য বড় হওয়া ছেলের পৃথিবীতেও তবে দেশ এ বার ঢুকে পড়ল।’’— সহাস্যে বললেন দেবশঙ্কর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy