বৌবাজার এলাকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধ ছাত্রাবাসে ভাঙচুরের অভিযোগে সোমবার চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিন জন আদালতের প্রতিনিধি ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জামিন দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে আদালতের প্রতিনিধি-সহ স্থানীয় কিছু বাসিন্দা বৌদ্ধ ছাত্রাবাসে আসেন। তাঁদের হাতে ছাত্রাবাস খালি করার জন্য আদালতের নির্দেশনামাও ছিল বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন। যে কারণে আদালতের ওই প্রতিনিধিদের তরফে সোমবার রাতেই হস্টেলের ছাত্রদের বিরুদ্ধে বৌবাজার থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ওই মামলাকারীদের দাবি, আদালতের নির্দেশনামা নিয়ে আসা প্রতিনিধিদের আঘাত করা বেআইনি। আদালতের প্রতিনিধিদের তরফে দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
যদিও হস্টেলের ছাত্রদের মারধরের ঘটনায় আগেই সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কোর্টের এ ধরনের কোনও নির্দেশ তাঁদের কাছে আসেনি বলে সোমবারই জানিয়েছিলেন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দোপাধ্যায়।
সোনালিদেবী সোমবার বলেছিলেন, ‘‘যদি এ রকম কিছু থেকেও থাকে, সেটা কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত ছিল। সেটা না করে যে ভাবে পড়ুয়াদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে তা নিন্দনীয়।’’ সোমবার রাতেই পুলিশকে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করে কড়া পদক্ষেপ নিতে আবেদন করেছিলেন উপাচার্য।
এ দিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কোনও রকম রাজনৈতিক রং না দেখেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বলেছি। এই ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy