প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির মধ্যে আচমকা খারাপ হয়ে গেল গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। সেই যন্ত্রের সাহায্যে মাটিতে নেমে আসে বিমান। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত ‘গ্লাইডপাথ’ নামে সেই যন্ত্র সারানোর কাজ চলেছে কলকাতা বিমানবন্দরে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, বাজ পড়েই বিগড়ে গিয়েছে ‘ইন্স্ট্রু্মেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম’ (আইএলএস)-এর ওই যন্ত্রাংশ।
কী হয় এই যন্ত্র না থাকলে? জানা গিয়েছে, মাটি থেকে ৫৫০ মিটার উপর পর্যন্ত পাইলটকে পথ দেখিয়ে নামিয়ে আনে এই যন্ত্র। তার পরে অবশ্য খালি চোখে রানওয়ে দেখতে পেলে তবেই নামতে পারে বিমান। সে দিনেই হোক আর রাতেই হোক। রাতে সে ক্ষেত্রে রানওয়ের মাঝের আলো সাহায্য করে বিমানকে। জানা গিয়েছে, গ্লাইডপাথ না থাকলে কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার উপর থেকে রানওয়েকে স্পষ্ট দেখতে হবে। নচেৎ বিমানের পক্ষে নামা সম্ভব নয়।
এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ শুরু হয় ঝড়বৃষ্টি। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিগড়োয় গ্লাইডপাথ। মাথায় হাত পড়ে অফিসারদের। আগরতলা থেকে আসা ইন্ডিগোর একটি উড়ান নামতে গিয়ে বিপত্তি দেখা দেয়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ওই বিমানটির মুখ ঘুরিয়ে রানওয়ের অন্য প্রান্ত দিয়ে নামিয়ে আনার চেষ্টা হয়। কিন্তু সে দিকেও হাওয়ার এত তোড় ছিল যে বিমানটি নামতে পারেনি। শেষে সেটি ভুবনেশ্বর চলে যায়। ইন্ডিগোর অন্য একটি বিমানও একই ভাবে নামতে না পেরে উড়ে যায় ভুবনেশ্বর। এক অফিসারের কথায়, ‘‘তা-ও বাঁচোয়া যে ঝড়বৃষ্টি হলেও আকাশ তুলনামূলক ভাবে পরিষ্কার ছিল। তাই, অত উপর থেকে রানওয়ে দেখতে পেয়ে বেশির ভাগ বিমান নামতে পেরেছে। সাড়ে সাতটা নাগাদ আকাশ শান্ত হওয়ার পরে আরও নিরাপদে নেমেছে বিমানগুলি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy