প্রতীকী ছবি।
চোরাই সোনা-সহ তিন জনকে ধরা হয়েছিল হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন থেকে। তাঁদের জেরা করে জানা গেল, সোনা নিয়ে আর এক জন ওই ট্রেনে চেপেই রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পরদিন কাকভোরে পটনা স্টেশনে ট্রেন থামতেই সেখান থেকে সোনা সমেত ওই যুবককেও নামিয়ে আনা হয়। এই চার জনের কাছ থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার চোরাই সোনা উদ্ধার হয়েছে। পুরো অভিযানটাই গত তিন দিন ধরে চালিয়েছেন ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর অফিসারেরা।
ডিআরআই সূত্রে খবর, শুক্রবার খবর আসে বিভূতি এক্সপ্রেসে তিন ব্যক্তি বারাণসী যাচ্ছেন। তাঁদের কাছে চোরাই সোনা রয়েছে। হাওড়া স্টেশনে গিয়ে ট্রেন থেকে নামিয়ে আনা হয় রমেশ বর্মা, আশুতোষ গুপ্ত ও অনুরাগ পাঠক নামে বারাণসীর ওই তিন বাসিন্দাকে। কোমরে কাপড় পেঁচিয়ে নকল বেল্ট তৈরি করে তার ভিতরে লুকিয়ে সোনা পাচার করছিলেন তাঁরা। ডিআরআই জানিয়েছে, মোট ১০.৬ কিলোগ্রাম সোনা পাওয়া যায়, যার বাজারদর ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা।
ধৃত তিন জনকে নিয়ে আসা হয় ডিআরআই অফিসে। একটানা জেরার মুখে তাঁরা জানান, তাঁদের আর এক সঙ্গী বিভূতি এক্সপ্রেসে করেই সোনা নিয়ে চলে গিয়েছেন। জ্ঞানচন্দ্র বর্মা নামে ওই ব্যক্তি ছিলেন অন্য কামরায়। এর পরেই ডিআরআই অফিসারেরা তাঁদের বিহার অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শনিবার ভোরে পটনা স্টেশনে পৌঁছে যান অফিসারেরা। ট্রেন পটনায় এসে দাঁড়াতেই নির্দিষ্ট কামরা থেকে নামিয়ে আনা হয় জ্ঞানকে। তাঁর কাছে মিলেছে প্রায় ৫ কিলোগ্রাম চোরাই সোনা।
ডিআরআই সূত্রে খবর, শনিবারই ওই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, তার আগে ওই চার জনকে জেরা করে এই পাচার-চক্রের অন্য সদস্যদের হদিস পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু, সোমবার রাত পর্যন্ত আর কারও নাম পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy