Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
বিতর্ক বালিতে

সংস্কারের নামে সবুজ ‘ধ্বংস’

কয়েক দিন ধরেই চলছিল এলাকার একটি উদ্যান সংস্কারের কাজ। বড় বড় গাছের ডালও ছাঁটা হচ্ছিল। তা নিয়ে কোনও আপত্তি ছিল না স্থানীয়দের। কিন্তু রবিবার সকালে ওই উদ্যানের একাধিক গাছ কেটে ফেলা ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক।

চলছে গাছ কাটা। রবিবার, বালির সেই উদ্যানে। — নিজস্ব চিত্র।

চলছে গাছ কাটা। রবিবার, বালির সেই উদ্যানে। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৫ ০১:৫২
Share: Save:

কয়েক দিন ধরেই চলছিল এলাকার একটি উদ্যান সংস্কারের কাজ। বড় বড় গাছের ডালও ছাঁটা হচ্ছিল। তা নিয়ে কোনও আপত্তি ছিল না স্থানীয়দের। কিন্তু রবিবার সকালে ওই উদ্যানের একাধিক গাছ কেটে ফেলা ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই ওই গাছ কেটে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন পুরসভার ঠিকাদার।

বিষয়টি জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘বালির সবুজ বাঁচাতে উদ্যান সংস্কার করতে বলেছি। কিন্তু কাউকে গোটা গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কে এই কাজ করলেন, তা পুলিশকে দেখতে বলেছি। প্রয়োজনে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, বালির বিবেকানন্দ পল্লি এলাকায় প্রায় ১০ কাঠা জমিতে রয়েছে ননীবালা শিশু উদ্যান। বাম আমলে তৈরি হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এটি বেহাল অবস্থায় ছিল। বালির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে হাওড়া পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয়, ৪৫টি উদ্যানকে সাজিয়ে তোলা হবে। সেই মতো দিন কয়েক আগে এই উদ্যানেও কাজ শুরু হয়।

স্থানীয়েরা জানান, নারকেল, কদম-সহ বিভিন্ন প্রজাতির ৮-৯টি বড় গাছ রয়েছে ওই পার্কে। রয়েছে কয়েকটি ছোট গাছও। আছে শিশুদের জন্য দোলনা, স্লিপ। সম্প্রতি মাটি ফেলে উঁচু করা হচ্ছিল এলাকা। বড় গাছের ডাল ছাঁটা চলছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, দিন দুয়েক আগে তাঁরা দেখেন, একটি বড় গাছ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে। রবিবার তাঁদের চোখে পড়ে, দড়ি বেঁধে কুড়ুল-করাত দিয়ে একটি কদম গাছ কাটা হচ্ছে। পাঁচ-ছ’জন বহিরাগত তদারকিও করছেন। তখনই তাঁরা বাধা দেন ও প্রশ্ন তোলেন, কার অনুমতিতে ওই গাছ কাটা হল।

স্থানীয়েরা জানান, প্রশ্ন শুরু করতেই ঠিকাদার পালান। গাছের কাটা অংশ নিয়ে যেতে গেলেও বাধা দেন তাঁরা। যোগাযোগ করেন মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা তৃণমূল (শহর) সভাপতি অরূপ রায়, মেয়র রথীন চক্রবর্তী এবং মেয়র পরিষদ (উদ্যান) বিভাস হাজরার সঙ্গে।

অরূপবাবু বলেন, ‘‘এটা মানা যায় না। গাছ কেন কাটা হবে? মেয়রকে বলেছি বিষয়টি দেখতে।’’ পুলিশ ওই কাটা গাছের অংশ বাজেয়াপ্ত করেছে। বিভাসবাবু বলেন, ‘‘সবুজ বাঁচানোর লক্ষ্যে এই কাজ করা হচ্ছে। ধ্বংস করতে নয়। কারা এই কাজ করলেন, তার তদন্ত হবে। দোষ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE