কলকাতা পুরসভার ছ’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পুরসভার চেয়ারপার্সনেরই চার্জশিট পেশের অনুমতি দেওয়া উচিত বলে মনে করে রাজ্য সরকার। শুক্রবার হাইকোর্টে রাজ্য সেই কথা জানিয়েছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, সুমন সিংহ নামে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে জাতীয় বার্ধক্য ভাতার টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।
হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল। অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) অভ্রতোষ মজুমদার আদালতে জানান, ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত শেষ হয়েছে। চার্জশিটও তৈরি। একই সঙ্গে অভ্রতোষবাবু জানান, পুরসভার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার অনুমতি দিতে হবে চেয়ারপার্সনকেই। ডিভিশন বেঞ্চ চেয়ারপার্সনকে সেই নির্দেশ দিক।
পুরসভা সূত্রের খবর, কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার অনুমতি কে দেবেন, তা নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত এজি আদালতে জানান, কোনও বিধায়ক বা সাংসদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হলে অধ্যক্ষকেই অনুমতি দিতে হয়। সুপ্রিম কোর্টেরও তেমন নির্দেশ রয়েছে। তাই কলকাতা পুরসভার চেয়ারম্যান বা চেয়ারপার্সনের সেই অনুমতি দেওয়া উচিত। বর্তমানে তৃণমূল কাউন্সিলর মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন।
মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী উদয় ভট্টাচার্য জানান, ওই কাউন্সিলর দীর্ঘদিন ধরে মৃত ব্যক্তিদের নামে বার্ধক্য ভাতার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। অন্তত ৭৫ জন মৃত ব্যক্তির নামে টাকা তোলা হয়েছে, এমন প্রমাণ আদালতে দাখিল করা হয়েছে বলে দাবি করেন উদয়বাবু।
ডিভিশন বেঞ্চ পুর-কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে, এই বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে। এক সপ্তাহ পরে মামলার পরবর্তী শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy