প্রতীকী ছবি।
চলতি বছরের বইমেলায় জাল বই ধরেছেন ‘বই-গোয়েন্দারা’। মেলার উদ্যোক্তা, ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’ সূত্রের খবর, প্রায় ১২টি স্টলে এ বার জাল বই বিক্রির খোঁজ মিলেছিল। মোট বইয়ের সংখ্যা, দু’শোরও বেশি। তবে এ নিয়ে ওই স্টল-মালিকদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়নি।
মেলা শুরুর আগেই বইমেলায় নজরদারি চালাতে বই-গোয়েন্দা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেলা কর্তৃপক্ষ। সেই প্রসঙ্গে ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’-এর সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, ‘‘১২টি স্টলে আমাদের গোয়েন্দারা জাল বই পেয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই স্টলের মালিকদের হাতে গিল্ডের তরফে চিঠি ধরানো হয়েছে। তবে চিঠি পেয়েই তাঁরা জাল বই সরিয়ে নিয়েছেন।’’ সেই সঙ্গে ত্রিদিববাবু জানান, যে-হেতু ওই স্টলের মালিকেরা সহ-ব্যবসায়ী তাই তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ত্রিদিববাবুর কথায়, ‘‘যে সব স্টলে ওই বইগুলি পাওয়া গিয়েছে তাঁরা অন্যদের বইও বিক্রি করেন। নকল বইয়ের কথা জানতে পেরেই তাঁরা সেগুলি সরিয়ে নিয়েছেন। পুলিশে গেলে অহেতুক জানাজানি হতো।’’
প্রসঙ্গত, ভুল বানান-সহ জাল বই বিক্রি হচ্ছে— এই দাবিতে সম্প্রতি বেশ কিছু প্রকাশক সংস্থার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইবি) দফতরে অভিযোগ করেছিলেন মিত্র ঘোষ প্রকাশনার কর্ণধার সবিতেন্দ্রনাথ রায়, আনন্দ পাবলিশার্সের তরফে সুবীর মিত্র, দে’জ প্রকাশনীর সুধাংশুশেখর দে, করুণা প্রকাশনীর বামাচরণ মুখোপাধ্যায় এবং এমসি সরকার-এর শমিত সরকার। তার পরেই বইমেলায় বই-গোয়েন্দাদের নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’। তারা জানিয়েছে, এতে কাজও হয়েছে। যদিও বইমেলায় জাল বই বিক্রির জন্য যে সমস্ত প্রকাশনা সংস্থাকে চিঠি ধরানো হয়েছে তাঁদের দাবি, না জেনেই তাঁরা ওই বই রেখেছিলেন। ভুল হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy