দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
দক্ষিণ
লায়েলকা মৈনাক ক্লাব: বিয়াল্লিশ বছরের পুজোর এ বারের থিম ‘পুরনো সেই দিনের কথা।’ মণ্ডপ সেজে উঠবে বিভিন্ন ধরনের খেলার সরঞ্জাম দিয়ে। মণ্ডপে বিভিন্ন বয়সের মানুষের মডেল দিয়ে তুলে ধরা হবে জীবনের শৈশব থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়।
শ্রীকলোনি সমাজ সঙ্ঘ: ধ্যানরত অবস্থায় থাকবে প্রতিমা। প্যান্ডেলটি হবে ত্রিভুজাকৃতির। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে থার্মোকল, মিরর গ্লাস, ফোম, ফয়েল পেপার, কপার প্লেট এবং ব্রাস প্লেট। ৫৮ বছরের এই পুজোর থিম ‘প্রতিবিম্ব’।
রিজেন্ট কলোনি ছাত্র সঙ্ঘ: নাগাল্যান্ডের গ্রামের বাড়ির আদলে সেজে উঠবে পুজো মণ্ডপ। ৫৪ বছরের পুরনো পুজোটির মণ্ডপ সজ্জায় থাকবে তন্ত্রসাধনার বিভিন্ন ছবি। বেড়ার উপরে থাকবে মাটির বিভিন্ন অলঙ্করণ। প্রতিমা সাবেক।
নেহরু কলোনি কালীপুজো কমিটি: পুতুল নাচের বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সাজবে মণ্ডপ। ব্যবহার করা হবে বড় মোমবাতি এবং প্রদীপ। মণ্ডপের ভিতরে থাকবে পুতুল নাচের বিভিন্ন আঙ্গিক। আটষট্টি বছরের এই পুজোর থিম, ‘এক অভিন্ন আকর্ষণ।’
নেতাজিনগর ফোরএসসি: চুয়াল্লিশ বছরের পুরনো পুজোর মণ্ডপ সজ্জায় থাকছে মাদুর, বেড়া, প্লাস্টিকের বল, বেত। মণ্ডপের মধ্যে রামায়ণ-মহাভারতের বিভিন্ন দৃশ্যায়ন দেখা যাবে। মণ্ডপ সাজাতে শিল্পীরা এসেছেন কাঁথি থেকে।
সূর্য নগর মাস্টারদা ক্লাব: পুজোর থিম রাশিচক্র। সাতষট্টি বছরের পুরনো পুজোয় মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হবে পটচিত্র, মাটির পুতুল এবং হাঁড়ি। ভিতরে থাকবে বারো মাসে তেরো পার্বণের বিভিন্ন দৃশ্য। প্রতিমা সাবেক।
আজাদগড় টালিগঞ্জ বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাব: মণ্ডপে থাকছে গ্রাম বাংলার পরিবেশ। ছেচল্লিশ বছরের এই পুজোর এ বারের থিম, ‘চলো যাই, লালনের দেশে।’ থাকবেন বাউল শিল্পীরা। দেখা যাবে রণপা নৃত্যও। প্রতিমা হবে
বৈরাগীর আদলে।
বিজয়গড় ছয় নম্বর ওয়ার্ড: মণ্ডপ হচ্ছে মন্দিরের আদলে। প্রতিমা সাবেক। পুজোয় চার দিন থাকছে লোকসঙ্গীত ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাঘা যতীন ফুলবাগানের বৈতালিকের পুজো: রংবেরঙের কাপড় দিয়ে সাজানো হবে মণ্ডপ। নানা রঙের ছটায় মণ্ডপে তৈরি
করা হবে ঝলমলে পরিবেশ। প্রতিমা সাবেক।
বাঘা যতীন জি ব্লকের বিবেকানন্দ সংঘ: সাবেক ঘরানায় প্যান্ডেল এবং বড় প্রতিমা এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। সঙ্গে রয়েছে আলোকসজ্জাও।
বাঘা যতীন রবীন্দ্র পল্লির অভিযান ক্লাব: পুজোর মণ্ডপটি সাজানো হবে রঙিন কাপড় দিয়ে। প্রতিমা সাবেক।
যাদবপুর যাত্রিক: পুজোর অন্যতম আকর্ষণ সারা বাংলা আতসবাজি প্রতিযোগিতা। প্যাণ্ডেল এবং প্রতিমা সাবেক।
পুজোর দিনগুলিতে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
বাঁশদ্রোণী রায়নগর যুবকবৃন্দ: মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে মশারির নেট, গাছের পাতা।
থাকছে আলোকসজ্জা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাঁশদ্রোণী মিতালি: চুয়ান্ন বছরের পুরনো এই পুজোর মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে কাচের টুকরো। মণ্ডপের ভিতরে দেখা যাবে টুকরো-টুকরো কাচ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের অলঙ্করণ। প্রতিমা ফাইবারের।
ফ্রেন্ডস সার্কেল ক্লাব: নাকতলার ঊষার মোড়ের এই পুজোর এ বার ৫০ বছর। থিম মায়ের উঠোন।
নিউটালিগঞ্জ কল্যাণ সমিতি: তেষট্টি বছরের পুরনো। পুজোমণ্ডপে থাকবে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবনী ও ছবি। প্রজেক্টরের সাহায্যে দেখানো হবে কার্গিল যুদ্ধের বিভিন্ন দৃশ্য। এখানে দেখা যাবে কালীর পাঁচটি রূপ।
সেনহাটি ইয়ং মেনস অ্যাসোসিয়েশন: মণ্ডপে আলপনা, কাপড়ের কারিকুরি। সাবেকি প্রতিমায় থাকবে নতুন সাজ।
অগ্রাসী ক্লাব: রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ। পুজোর আর এক আকর্ষণ তুবড়ি প্রতিযোগিতা।
চেতলা
রক্তচামুণ্ডা: চেতলা মিলন সঙ্ঘের পঁয়ত্রিশ বছরের এই পুজোয় দেবীর পায়ের তলায় শিব-এর পরিবর্তে থাকেন পঞ্চানন। পুজো
হয় তন্ত্রমতে।
পঞ্চমুণ্ডা: চেতলা হাট রোডের প্রদীপ সঙ্ঘের এই পুজোয় একই অঙ্গে দেবীর পাঁচটি রূপ পূজিত হয়। দেবীর মূল মাথাটি চামুণ্ডারূপী। বাকি চারটি রূপ শ্যামাকালী, রক্ষাকালী, বগলা এবং ধূমাবতী। এখানে পুজোর আয়োজন করেন পুরুষেরা এবং তারাপীঠের পাঁচ তান্ত্রিক এই পুজো করবেন।
দশমহাবিদ্যা: পিয়ারিমোহন রোডের ২৪ পল্লি চেতলা সর্বসাধারণের এই পুজোয় কালী, তারা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, ছিন্নমস্তা, বগলা, ধূমাবতী, মাতঙ্গী ও কমলা— এই দশ রূপে পুজো করা হয়। কালীপুজোয় শ্যামাকালীর পুজো হলেও বাকি দিন অন্যান্যদের পুজো হয়।
চামুণ্ডা: আলিপুর আরাধনা সমিতিতে কালীপুজোয় পূজিত হন দেবী চামুণ্ডা। দুর্গার কপাল থেকে সৃষ্টি হয়েছিল এক দেবী। পরে সেই দেবীর হাতেই চণ্ড ও মুণ্ড নামের দুই অসুর নিহত হয় বলে দেবীর নাম
হয় চামুণ্ডা।
ডাকাতকালী: চেতলা রোডের প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে পুজো হয় ডাকাতকালীর। কথিত, তারকেশ্বর যাওয়ার পথে মা সারদাকে নীলু ও ভুলু নামের দুই ডাকাত ধরে নিয়ে তাদের আখড়ায় বেঁধে রাখে। পরে দেখেন মা সারদার জায়গায় বসে স্বয়ং কালী। এরপর তাঁরা মা সারদাকে ছেড়ে দেয়।
হাজারহাত কালী: মূল মূর্তির দু’টি হাত থাকলেও চালিতে থাকে বাকি ৯৯৮টি হাত। রাখালদাস আঢ্য লেনের চেতলা ফিজিক্যাল কালচার অ্যাসোসিয়েশনের হাজারহাত কালীর অধিষ্ঠান শিবের বুকের উপর নয়। এখানে দেবীর ডান পা পদ্মের উপরে আর বাঁ পা থাকে সিংহের উপরে। শিব এখানে ধ্যানরত।
দক্ষিণ শহরতলি
মহামায়াতলা লস্করপুর জাগৃতি সঙ্ঘ: এ বারের থিম ‘দশভুজা-দশানন। জাগৃতিতে অসুর নিধন’। দেবীর দশ হাত-দশ মাথা। দশ হাতে থাকবে অস্ত্র। রুদ্রমূর্তির দেবী অসুর নিধন করবেন। কষ্টি পাথরের
আদলে মূর্তি।
বোড়াল নেতাজি সঙ্ঘ: বরফের পাহাড়ের আনাচে-কানাচে নানা মন্দির। বরফ গলে ঝরনার জল ঝরছে। এ বারের থিম কেদারনাথ। শিবলিঙ্গের মধ্যেই থাকছে দেবীর মূর্তি। বাঁশ, চট, প্যারিস দিয়ে তৈরি হচ্ছে ৩০ ফুট উঁচু পাহাড়।
সোনারপুর শক্তি সঙ্ঘ: দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। মণ্ডপের চারিদিকে হোগলা ও বাঁশের নানা কারুকার্য। প্রতিমা সিদ্ধেশ্বরী কালী। প্রতিমার ঊচ্চতা ১৪ ফুট। পুজোর দিন মণ্ডপ প্রাঙ্গণে চলবে ছো-নাচ।
সুভাষগ্রাম সুকান্তপল্লি: গোবরডাঙা রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ। এ বারের থিম ‘রাজার ঘরে সোনার মেয়ে।’ থাকছে জমিদার বাড়ির আদলে সিংহদরজা। প্রতিমার রং সোনালি।
বারুইপুর প্রগতি সঙ্ঘ: থিম হ্যারি পটার। প্লাইউড-চট, পাট ও থর্মোকল নিয়ে হ্যারি পটারের নানা ঘটনার চিত্র ফুটে উঠবে মণ্ডপের চারিদিকে। এখানে শ্যামাকালী। পুজোয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে।
বারুইপুর সুপার স্টার ক্লাব: এ বারের থিম ‘চাঁদের পাহাড়।’ ছিটে বেড়া, চট, প্যারিস, থামোর্কল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পাহাড়। উদ্যোক্তারা জানান, চম্বলের দুর্গম পাহাড়ের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। পাহাড়ের গুহায় পুজো হবে দেবীর উগ্রমূর্তির।
আমতলা নিউ স্টার ক্লাব: দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। মূলত বাঁশ ও কাপড়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। এখানে দেবীর শান্ত রূপ। পুজোয় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
গড়িয়া পূর্ব তেঁতুলবেড়িয়া সম্মেলনী: পুরীর মন্দিরের রথের আদলে মণ্ডপ। হস্তশিল্পের নানা কারুকার্যে মোড়়া থাকবে ওই রথ। জগন্নাথের মূর্তির আদলে
দেবীর মূর্তি।
গড়িয়া সবুজ মেরুন সঙ্ঘ: লখনউ এক জমিদার বাড়ির আদলে মণ্ডপ। বাঁশ, থার্মোকল, প্যারিস দিয়ে তৈরি করা হবে মণ্ডপটি। উদ্যোক্তারা জানান, অবিকল রাজবাড়ির আদল নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজবাড়ির ভিতর নানা কারুকার্য শিল্পীর কল্পনায় ফুটিয়ে তোলা হবে। এখানে দেবীর
শান্ত মূর্তি।
বিষ্ণুপুর পৈলান দৌলতপুর যুব সঙ্ঘ: বারের থিম ‘শ্যামকুঞ্জে শ্যামা সাধনা’। বাঁশ ও কাঠের তৈরি দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। বাঁশের আঁশ দিয়ে মণ্ডপের চারিদিকে কৃষ্ণলীলার ছবি ফুটিয়ে তোলা হবে। এখানে দেবীর মূর্তি শান্ত।
উত্তর
আমহার্স্ট স্ট্রিট সর্বজনীন কালীপুজো: জাঁকজমক কমলেও সাবেক ঐতিহ্যে অটুট এই পুজোয়। ষোলো ফুটের প্রতিমা সাজে সোনার গয়নায়। আলোয় সাজানো রাস্তা। সোমেন মিত্রের পুজো নামেই এটি পরিচিত।
নবযুবক সঙ্ঘ: সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের এই পুজোর প্রতিমা উনিশ ফুট। শিল্পী মাধব পালের তৈরি প্রতিমা। মূল প্রবেশপথ কেশব সেন স্ট্রিটে। আজও লোকমুখে ফাটা কেষ্টর পুজো নামে এর পরিচিতি। শিল্পী আনিয়ে জলসা পুজোর অন্যতম আকর্ষণ।
একতা সঙ্ঘ: আমহার্স্ট স্ট্রিটের এই পুজোয় প্রতিমা সাবেক। সোনার গয়নায় সজ্জিত। মণ্ডপের কোনও বাহুল্য নেই।
যুবশ্রী: আমহার্স্ট স্ট্রিটের এই পুজোটিও সাবেক। চন্দননগরের আলোয় সেজে উঠছে এলাকার বাড়ি এবং রাস্তা।
বালক সঙ্ঘ: এ বছর ৬৪ তম বর্ষ। শ্রদ্ধানন্দ পার্কের কাছে এই পুজোর প্রতিমাও শ্যামাকালী।
রয়্যাল ক্লাব: আমহার্স্ট স্ট্রিট ও মহাত্মা গাঁধী রোডের সংযোগস্থলের সাবেক পুজো।
বৈঠকখানা ব্যবসায়ী সমিতি এবং পল্লিবাসী সমন্বয় কমিটি: বৈঠকখানা রোড ও রামনাথ বিশ্বাস লেনের মোড়ের এই পুজো স্থানীয় কাগজ ব্যবসায়ীদের। চালচিত্র-সহ মূর্তি ১৭ ফুটের।
পল্লিকল্যাণ সমিতি: বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিট সংলগ্ন নবীন চাঁদ বড়াল লেনের পুজোটি শুরু করেন এলাকার স্বর্ণকাররা। এ বার ৭১ বছর। বর্তমানে দায়িত্বে যাত্রিক ক্লাব। সোনার জিভ, মুকুট-সহ সোনার গয়নায় সাজে প্রতিমা।
নবরবীন সঙ্ঘ: পটুয়াতলা লেনের ৫৭ বছরের এই পুজোয় ষোলো ফুটের সাবেক প্রতিমা সাজবে সোনার গয়নায়।
মধ্য কলকাতা সর্বজনীন শ্যামাপুজো: ৭৩তম বর্ষের এই পুজো হয় কোলে মার্কেটের বিপরীতে ফরডাইস লেনে। সোনার গয়না, রুপোর মুকুটে সজ্জিত প্রতিমা।
খেয়ালি খেলাঘর (কলেজ স্ট্রিট): ১৭৮ বছরের পুরনো কলেজ স্ট্রিটের এই পুজোয় প্রতিমাকে পরানো হয় সোনার গয়না। এই পুজোয় যাত্রাও অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা-সহ বিসর্জন হয়।
হাতিবাগান সর্বজনীন শ্রীশ্রী শ্যামা পুজো: ৭২ তম বর্ষে বাটাম, কাপড় ও থার্মোকল দিয়ে মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। মুকুট সমেত সাবেক প্রতিমা ১৪ ফুটের। উদ্বোধনের দিন হবে যাত্রানুষ্ঠান। এ বারের যাত্রা ‘নটী বিনোদিনী’।
পাথুরিয়াঘাটা সর্বজনীন কালী পুজো: শুরু ১৯২৮ সালে। পরিচালনায় পাথুরিয়াঘাটা ব্যয়াম সমিতি। পুজো হয় স্থায়ী মণ্ডপে। মাটি থেকে মুকুট পর্যন্ত সাবেক প্রতিমার ২৭ ফুটের। প্রতিমা গড়া হয় ট্রলিতে। হাতে থাকে পাঁচ ফুটের রুপোর খাঁড়া, রুপোর মুণ্ডু ও চাঁদমালা। বর্ধমান থেকে আসে আট ফুটের শোলার মুকুট। গয়না সোনার। ধুতি ও লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে এলাকাবাসী বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন শ্রীশ্রী শ্যামাপুজো: বদ্রিদাস টেম্পল স্ট্রিটের এই পুজোর ৭৬ তম বর্ষ। প্লাই ও গাছকৌটোয় সাজছে মণ্ডপ। তেরো ফুটের প্রতিমা। থাকছে ডাকিনী-যোগিনী।
আহিরীটোলা সর্বজনীন কালীপুজো: ৮১ বছরের এই পুজো সাবেক। সোনার অলঙ্কারে ভূষিত শ্যামাকালী এগারো ফুটের।
রামকৃষ্ণ মহাশ্মশান সর্বজনীন কালীপুজো: রতনবাবু ঘাট বা রামকৃষ্ণ মহাশ্মশানের গা ঘেঁষে হয় এই পুজো। তন্ত্রমতে পুজোর চার প্রহরে চারটি বলি হয়। সোনা-রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত প্রতিমা শ্মশানকালী। অন্নকূট হয়।
আমহার্স্ট স্ট্রিট সর্বজনীন কালীপুজো: জাঁকজমক কমলেও সাবেক ঐতিহ্যে অটুট এই পুজোয়। ষোলো ফুটের প্রতিমা সাজে সোনার গয়নায়। আলোয় সাজানো রাস্তা। সোমেন মিত্রের পুজো নামেই এটি পরিচিত।
নবযুবক সঙ্ঘ: সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের এই পুজোর প্রতিমা উনিশ ফুট। শিল্পী মাধব পালের তৈরি প্রতিমা। মূল প্রবেশপথ কেশব সেন স্ট্রিটে। লোকমুখে ফাটা কেষ্টর পুজো নামে এর পরিচিতি।
একতা সঙ্ঘ: আমহার্স্ট স্ট্রিটের এই পুজোয় প্রতিমা সাবেক। সোনার গয়নায় সজ্জিত। মণ্ডপের কোনও বাহুল্য নেই।
যুবশ্রী: আমহার্স্ট স্ট্রিটের এই পুজোটিও সাবেক। চন্দননগরের আলোয় সেজে উঠছে এলাকার বাড়ি এবং রাস্তা।
বালক সঙ্ঘ: এ বছর ৬৪ তম বর্ষ। শ্রদ্ধানন্দ পার্কের কাছে এই পুজোর প্রতিমাও শ্যামাকালী।
রয়্যাল ক্লাব: আমহার্স্ট স্ট্রিট ও মহাত্মা গাঁধী রোডের সংযোগস্থলের সাবেক পুজো।
বৈঠকখানা ব্যবসায়ী সমিতি এবং পল্লিবাসী সমন্বয় কমিটি: বৈঠকখানা রোড ও রামনাথ বিশ্বাস লেনের মোড়ের এই পুজো স্থানীয় কাগজ ব্যবসায়ীদের। চালচিত্র-সহ মূর্তি ১৭ ফুটের।
পল্লিকল্যাণ সমিতি: বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিট সংলগ্ন নবীন চাঁদ বড়াল লেনের পুজোটি শুরু করেন এলাকার স্বর্ণকাররা। এ বার ৭১ বছর। বর্তমানে দায়িত্বে যাত্রিক ক্লাব। সোনার টায়রা-টিকলি, জিভ, মুকুট-সহ যাবতীয় সোনার গয়নায় সাজে প্রতিমা।
নবরবীন সঙ্ঘ: পটুয়াতলা লেনের ৫৭ বছরের এই পুজোয় ষোলো ফুটের সাবেক প্রতিমা সাজবে সোনার গয়নায়।
মধ্য কলকাতা সর্বজনীন শ্যামাপুজো: ৭৩তম বর্ষের এই পুজো হয় কোলে মার্কেটের বিপরীতে ফরডাইস লেনে। সোনার গয়না, রুপোর মুকুটে সজ্জিত প্রতিমা।
খেয়ালি খেলাঘর (কলেজ স্ট্রিট): ১৭৮ বছরের পুরনো কলেজ স্ট্রিটের এই পুজোয় প্রতিমাকে পরানো হয় সোনার গয়না। এই পুজোয় যাত্রাও অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা-সহ বিসর্জন হয়।
হাতিবাগান সর্বজনীন শ্রীশ্রী শ্যামা পুজো: ৭২ তম বর্ষে বাটাম, কাপড় ও থার্মোকল দিয়ে মন্দির। মুকুট সমেত সাবেক প্রতিমা ১৪ ফুটের। উদ্বোধনে হবে ‘নটী বিনোদিনী’ পালা।
পাথুরিয়াঘাটা সর্বজনীন: পুজোর পরিচালনায় পাথুরিয়াঘাটা ব্যয়াম সমিতি। পুজো হয় স্থায়ী মণ্ডপে। প্রতিমা ২৭ ফুটের। প্রতিমার হাতে থাকে পাঁচ ফুটের রুপোর খাঁড়া, রুপোর মুণ্ডু ও চাঁদমালা। বর্ধমান থেকে আসে আট ফুটের শোলার মুকুট। গয়না সোনার।
গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন শ্রীশ্রী শ্যামাপুজো: বদ্রিদাস টেম্পল স্ট্রিটের এই পুজোর ৭৬ তম বর্ষ। প্লাই ও গাছকৌটোয় সাজছে মণ্ডপ। তেরো ফুটের প্রতিমা। থাকছে ডাকিনী-যোগিনী।
আহিরীটোলা সর্বজনীন কালীপুজো: ৮১ বছরের এই পুজো সাবেক। সোনার অলঙ্কারে ভূষিত শ্যামাকালী এগারো ফুটের।
রামকৃষ্ণ মহাশ্মশান সর্বজনীন কালীপুজো: রতনবাবু ঘাট বা রামকৃষ্ণ মহাশ্মশানের গা ঘেঁষে হয় এই পুজো। তন্ত্রমতে পুজোর চার প্রহরে চারটি বলি হয়। সোনা-রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত প্রতিমা শ্মশানকালী। অন্নকূট হয়।
দমদম-নাগেরবাজার
আমরা মিলেছি: ৬১ তম বর্ষের এই পুজোয় মণ্ডপ হচ্ছে আলমোড়ার মন্দির। পিতল ও কাঠ দিয়ে হবে মণ্ডপসজ্জা। ঝুলবে মানতে বাঁধা সুতো।
হরকালী কলোনি অধিবাসী বৃন্দ: ৫২ তম বর্ষের নিবেদন গুহায় মন্দির। দর্শকদের খানিকটা উঁচুতে উঠতে হবে। কাপড়, থার্মোকল, কাঠ দিয়ে হবে মণ্ডপ।
মিলন পরিষদ ক্লাব: দু’নম্বর টানোয়ার কলোনির মণ্ডপ হচ্ছে লোটাস মন্দিরের আদলে। জলের ওপরে লোহা ও ফাইবারে তৈরি হবে মণ্ডপ।
সন্তান সঙ্ঘ: কাল্পনিক স্বর্গ। স্বর্গের কাল্পনিক পরিবেশ হবে মণ্ডপে।
উত্তরায়ণ ক্লাব: দমদম কুণ্ডুবাগানের থিম রাজস্থানের মরূভূমি।
জ’পুর জয়শ্রী সঙ্ঘ: বাঁকুড়ার পোড়া মাটির শিল্প ও ছো শিল্পের আদলে প্লাই, দড়ি, পোড়ামাটির জিনিসে মণ্ডপ।
দক্ষিণ দমদম মিত্র সঙ্ঘ: শীল বাগানের মণ্ডপ ৭৫ ফুটের কাল্পনিক মন্দির। ফোয়ারা ও আলোয় সাজবে।
খামখেয়ালী সঙ্ঘ: ঘোষপাড়ার এই মণ্ডপ সাজছে টিন ও অ্যালুমিনিয়ামের পাতে তৈরি কাল্পনিক মন্দিরে।
এম সি গার্ডেন, তরুণ সঙ্ঘ: প্লাইউড দিয়ে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির।
দমদম যুবকবৃন্দ, ১ নং মল্লিক কলোনি: ‘দেবীভূমি’। দেওয়াল চিত্রে মণ্ডপ। ব্যবহার হচ্ছে মাটি, খড়।
বন্ধুবান্ধব ক্লাব: মাড়োয়ারি বাগানের এই পুজোয় প্লাই, বাঁশ, কাপড় দিয়ে তৈরি হবে মণ্ডপ।
যুবকবৃন্দ, মন্দির রোড: মণ্ডপ কাল্পনিক মন্দিরের আদলে। ঝুড়ি ও ফাইবারের ব্যবহার থাকছে।
দুর্গানগর যুবগোষ্ঠী: থিম, পরিবেশ। দেখানো হবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও তার মোকাবিলার ঝলক।
মিলন সঙ্ঘ: দমদম পি কে গুহ রোডের এই পুজো সাবেক।
মধ্যমগ্রাম-বিরাটি
মধ্যমগ্রামের কালীপুজো: মাইকেলনগর নেতাজি সঙ্ঘ বাঁশ দিয়ে গড়ছে নেপালের প্যাগোডা। শিবকালী ও কৃষ্ণরূপে প্রতিমা। চন্দননগরের আলোয় থাকছে সবুজ সাথী, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প, পশু, পাখি।
বসুনগর যুবকবৃন্দ অ্যাথলেটিক ক্লাব: সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। পেখম মেলা ময়ূরের শৈলীতে মণ্ডপ। দু’পাশে শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদা মা। পুকুরে ঝরনা।
ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাব: সুভাষ ময়দানে হচ্ছে চিনের প্যাগোডা। প্লাস্টিকের বোতল আর ছিপি দিয়ে মণ্ডপ। সাবেক প্রতিমা।
নবজাগরণ সঙ্ঘ: গঙ্গানগর-দোলতলা দক্ষিণপাড়ার এই পুজোর এ বার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে লালপাহাড়ির দেশ। প্রতিমা আদিবাসী রমণী।
গঙ্গানগর নেতাজিনগর অধিবাসীবৃন্দ: পঁচিশ বছরে থিম পুরোনো মন্দির। মানাসই প্রতিমা।
মহাজাতি উদয়ন সঙ্ঘ: ঋষি অরবিন্দ পার্কের এই পুজোয় খালের উপর বাঁশের সাঁকো। মেঠো পথ। জোনাকি জ্বলছে, ঝিঁঝিঁ ডাকছে। মণ্ডপ শ্যামনগরের মন্দির।
অগ্রদূত সঙ্ঘ: মাদুরাইয়ের মিনাক্ষী মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। প্রতিমা কাচের।
বসুনগর মৈত্রী সঙ্ঘ: চোখের আদলে মণ্ডপ। মানানসই প্রতিমা।
বোসনগর প্রতাপ সঙ্ঘ: অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণ। মানানসই প্রতিমা ও আলোকসজ্জা।
একত্র সঙ্ঘ: পাহাড়ে উঠে প্রতিমা দর্শন করতে হবে। প্রতিমা সাবেক।
দেবদাসপল্লি উদয়ন সঙ্ঘ: আগুনের বলয় থেকে দেবী আসবেন। আলোর বিভিন্ন কারুকাজ থাকবে।
চণ্ডীগড় ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাব: বাঁশ, কাপড়, থার্মোকল দিয়ে হচ্ছে কাল্পনিক মণ্ডপ। মহাভারতের বিভিন্ন মডেলে সাজছে দেবী।
ইয়ং সেন্টার: সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে থিম, শিশু শ্রম। ঝিনুক দিয়ে হচ্ছে মণ্ডপ।
মেঘদূত শক্তি সঙ্ঘ: মহারাষ্ট্রের একটি মন্দির। প্লাইউডের কারুকাজ। রামায়ণ-মহাভারতের থিমে প্রতিমা।
দোহারিয়া শৈলেশনগর যুবক সঙ্ঘ: থিম, রামায়ণ। দেবীর দু’পাশে রামায়ণের দৃশ্যাবলি। আলোয় তৈরি হচ্ছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
পূর্বাশা যুব পরিষদ: থিম, বিশ্ব বাংলা ট্রেন। বাতানুকূল ট্রেনে উঠে ঠাকুর। বাংলার প্রগতির ঘটনাবলি।
শ্রীনগর ২ নম্বর অধিবাসী বৃন্দ: মানুষকে সচেতন করতে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ-এর প্রয়াস।
বিধানপল্লি যুবগোষ্ঠী: কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত কালীর নানা রূপ দেখা যাবে।
চৈতালি উদ্যান কিরণ পার্ক অধিবাসীবৃন্দ: থিম, অঞ্জলি। পুজোর উপকরণে সাজছে মণ্ডপ।
নবারুণ সঙ্ঘ: তালপাতা ও তালগাছের বিভিন্ন অংশে হচ্ছে মণ্ডপ।
সুভাষপল্লি অধিবাসীবৃন্দ: টোপরের মণ্ডপ। মাটির মডেলে গণবিবাহের বিভিন্ন রূপ দেখা যাবে।
রবীন্দ্রপল্লি অ্যাথলেটিক ক্লাব: মাদুরের মণ্ডপ। দর্শকরা দেখবেন দক্ষযজ্ঞ। থাকছে আলোর ছয়টি গেট।
সাহারা অধিবাসীবৃন্দ: কাল্পনিক মন্দির। সাবেক প্রতিমা।
সল্টলেক
মৈত্রী সঙ্ঘ: সিএফ ব্লকের পুজোয় জমিদারবাড়ির নাটমন্দির। থাকছে মানানসই আলোকসজ্জা। এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত জানান, প্রতি বছরের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও থাকবে চমক।
বলাকা স্পোর্টিং ক্লাব: বিডি ব্লকের পুজোর আকর্ষণ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। চালচিত্র-সহ ২০ ফুটের প্রতিমা।
নয়াপট্টি আদিত্য স্মৃতি সঙ্ঘ: নয়াপট্টির এই পুজোয় মণ্ডপ হচ্ছে পাটজাত দ্রব্যে। কালীর দশ হাত।
সুকান্তনগর সেন্টার ফর কালচার অ্যান্ড স্পোর্টস: সুকান্তনগরের পুজো এ বার ২৫ বছরে। মাদুর দিয়ে হচ্ছে মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। থাকছে মানানসই আলোকসজ্জা।
জিডি ব্লক: ৩৩ বছরের এই পুজোয় মণ্ডপ ও প্রতিমা সাবেক। থাকছে মানানসই আলোকসজ্জা।
বাগপাড়া যুবক সঙ্ঘ: মন্দিরের আদলে মণ্ডপ ও সাবেক প্রতিমা। আলোকসজ্জায় আইফেল টাওয়ার।
সুকান্তনগর স্পোর্টিং ক্লাব: বুদ্ধমন্দিরের আদলে মণ্ডপ ও প্রতিমা। থাকছে মানানসই আলোকসজ্জা।
হাওড়া
বালি ফাইভ স্টার: গোস্বামী পাড়া রোডের ২৭ বছরের পুজোয় মণ্ডপ নাটমন্দির। খিচুড়ি, পোলাও, মরসুমি সব্জির তরকারি, লুচি ও মিষ্টি ভোগে থাকে। এলাকা সাজছে আলো, থার্মোকলের মডেলে। উদ্বোধনে ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানানো হবে। শোভাযাত্রা-সহ বিসর্জন।
রাজচন্দ্রপুর তরুণ দল: ২২ তম বর্ষের থিম সিমলা। ছোবড়া, প্লাস্টার অব প্যারিসে তৈরি পাহাড় ঢাকা থাকবে তুলোর বরফে। পাহাড়ি রাস্তায় চলবে টয়ট্রেন ও বাস। গুহার ভিতরে একশ হাতের শ্যামাকালী।
বালি বালক বৃন্দ: পুকুরের মধ্যে মণ্ডপ আটচালার আদলে। সামঞ্জস্য রেখেই প্রদীপের মতো আলো। থাকছে প্রীতিভোজ, বাউল গানের অনুষ্ঠান।
বালি স্পুটনিক ৭০: ৪৭ তম বর্ষে প্লাস্টিকের বালতি, গামছা, কাপড়ের টুকরোর মণ্ডপ। থাকবে প্লাস্টার অব প্যারিসের পরী ও এলিডি আলোর কাজ। মূল আকর্ষণ পুজোর পরের সন্ধ্যায় আতসবাজির প্রদর্শনী।
নেতাজি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি অব ইয়ুথ: মূল আকর্ষণ ১৮ ফুটের প্রতিমা। ৫৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে হচ্ছে কাল্পনিক মন্দির। ভিতরে থার্মোকলের কারুকার্য। ভোগে থাকে ৫১ রকম ভাজা। বসবে মেলা।
সুহৃদ সঙ্ঘ: বালি দুর্গাপুরের পুজোর এ বার ৯২ বছর। জীবনানন্দের রূপসী বাংলার আদলে থাকছে মডেল। থার্মোকল, বাঁশ, প্লাস্টার অব প্যারিসে তৈরি ৩০ ফুটের শিবলিঙ্গের ভিতরে নটরাজের ভঙ্গিমায় প্রতিমা।
বালি খেয়ালী সঙ্ঘ: ৫০ তম বর্ষের থিম মিশর। থার্মোকল, প্লাস্টার অব প্যারিসে তৈরি পিরামিড।
শিবপুর সুভাষ সঙ্ঘ: কাশীনাথ চ্যাটার্জি লেনের এই পুজোর সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। থিম ‘তন্ত্র সাধনায় জীবন্ত খুলি’। খুলির আকারে হচ্ছে মণ্ডপ। আলোর ব্যবহারে হবে গা ছমছমে পরিবেশ।
দেবীর পাড়া নতুন দল: ৩৩ তম বর্ষে ব্যাঙ ও ব্যাঙের ছাতার মডেলে সাজছে মণ্ডপ। থাকবে শুঁয়োপোকা, কাঠপিঁপড়ে, চামচিকের মডেল। কালী এখানে সাপের রূপে। পুজোয় থাকছে বিভিন্ন লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠান।
রথতলা মহামানব সঙ্ঘ: ৮৯তম বর্ষের পুজোয় স্বর্ণমন্দিরের অনুকরণে মণ্ডপ। ইন্ডিয়া গেটের অনুকরণে ৪৬ ফুটের গেট হচ্ছে। থাকছে চন্দনগরের লাইট। ডেঙ্গির সচেতনতায় দুঃস্থদের মশারি দেওয়া হবে।
ছাতিমতলা বালক সঙ্ঘ: কদমতলা দীনু লেনের পুজো ৫৭ তম বর্ষ। মণ্ডপে থাকছে মাটির মডেল। গা ছমছমে পরিবেশে নানা শব্দ, আলো ও আগুনের ব্যবহার।
মধ্য বৃন্দাবন যুবকবৃন্দ: এলাকার বড় কালী নামে পরিচিত এই পুজোর ৫২ বছর। সত্যজিৎ রায়ের অস্কার প্রাপ্তির স্মরণে থিম গুপি গায়েন, বাঘা বায়েনের জীবন্ত মডেল। থাকছে শব্দ, আলোর খেলা।
নিধিরাম মাঝি লেনের এস এ ক্লাব: এ বার ৭৫ তম বর্ষের পুজো। এই পুজো উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
কল্যাণেশ্বর বালক সঙ্ঘ: ৫৭ তম বর্ষের ভাবনা ‘গঙ্গা আমার মা’। মণ্ডপে আলো ও শব্দের মাধ্যমে শুম্ভ-নিশুম্ভের যুদ্ধ দেখানো হবে।
তথ্য: দেবাশিস দাস, দীক্ষা ভুঁইয়া, শুভাশিস ঘটক ও জয়তী রাহা
তথ্য: জয়তী রাহা, প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়, অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য, কাজল গুপ্ত, শান্তনু ঘোষ এবং দেবাশিস দাশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy