প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘদিন ভয় দেখিয়ে বছর ষোলোর কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল তার মায়ের সহকর্মী। কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরে বিষয়টি জানাজানি হয়।
শনিবার শিয়ালদহের পকসো বিশেষ আদালতে ধর্ষণকারীকে ২০ বছরের কারাবাসের সাজা দিলেন বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস। সাজাপ্রাপ্তের নাম কিশোর শর্মা। বয়স ৪৫। পুলিশ জানায়, সে বিবাহিত, সন্তানও রয়েছে। পেশায় একটি লন্ড্রির গাড়ির চালক। সূত্রের খবর, কিশোরকে ২০ বছরের জন্য জেলে পাঠানো ছাড়াও পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এর মধ্যে আসামিকে দু’লক্ষ টাকা দিতে হবে। দিতে না-পারলে আরও এক বছরের জেল। জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ দেবে আরও তিন লক্ষ টাকা।
সরকারি কৌঁসুলি বিবেক শর্মা জানান, মেয়েটির মা ওই লন্ড্রিতে কাজ করতেন। মায়ের সঙ্গে প্রায়ই সেখানে যেত কিশোরীটি। তখনই তাকে ভয় দেখিয়ে মুখ বেঁধে ওখানেই কয়েক দিন ধরে নাগাড়ে ধর্ষণ করে কিশোর। এটা গত অক্টোবরের ঘটনা বলে পুলিশি তদন্তে প্রকাশ। গত ফেব্রুয়ারিতে মেয়েটি গর্ভবতী হওয়ার পরে পেটব্যথা শুরু হতে সব জানতে পারেন মেয়েটির মা। এর পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিশোরকে ধরে পুলিশ। ফুলবাগান থানার ওসি পীযূষ কুণ্ডুর নেতৃত্বে তদন্ত করেন এসআই রাজীব প্রসাদ। প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট বা পকসো আইনের ছ’নম্বর ধারায় ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (২ এন) ধারায় নাবালিকাকে বারবার ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হয় কিশোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy