প্রতীকী ছবি।
দিন দুয়েক আগে খুলনা থেকে কলকাতায় আসার সময়ে একটি বেসরকারি বাস থেকে সোনা পাচারের অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। তাঁদের মধ্যে দু’জন সেই বাসের চালক এবং সুপারভাইজার। গত বছরও খুলনা থেকে আসা একটি বাসে পাচার করা সোনা পেয়েছিলেন ডিআরআই অফিসারেরা। গোয়েন্দাদের ধারণা, এই বাস চালক ও সুপারভাইজাররা যে হেতু নিয়মিত দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করছে, তাই তাদের প্রলোভন দেখিয়ে ৫-১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সোনা পাচারের কাজ করানো হচ্ছে।
ডিআরআই সূত্রের খবর, শনিবার বাসটি খুলনা থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতায় আসছিল। পৌনে দু’কোটি টাকার প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোগ্রাম সোনা ছিল চালকের কাছে। বারাসত থেকে এক ব্যক্তি যাত্রী সেজে বাসে ওঠেন। তার হাতে তুলে দেওয়া হয় সোনা। সেই ব্যক্তি কৈখালিতে নেমে যান। কিন্তু, পাচারের খবর পেয়ে যান গোয়েন্দারা। কৈখালি থেকে আটক করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ধরা হয় বাস চালক ও সুপারভাইজারকেও।
নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে যখন বাস আসে, তখন সীমান্তে বাসের প্রতিটি যাত্রী, চালক এমনকী গোটা বাস তল্লাশি করার কথা। অফিসারদের অনুমান, নিয়মিত একই সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করার সুবাদে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও এখন মুখ চেনা হয়ে গিয়েছে এই সব চালক ও সুপারভাইজারদের। গোয়েন্দাদের ধারণা, তল্লাশি এড়িয়ে সোনা নিয়ে ঢুকে আসছেন কেউ কেউ।
অন্য একটি ঘটনায় কলকাতার বড়বাজারের সত্যনারায়ণ পার্কের কাছ থেকে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল ডিআরআই। তাঁদের মধ্যে দু’জনের কাছ থেকে ৬ কিলোগ্রাম ১৮০ গ্রাম ওজনের ৫৩টি সোনার বিস্কুট পাওয়া গিয়েছে। যার বাজারদর প্রায় দু’কোটি টাকা। এই সোনাও বাংলাদেশ থেকে এসেছে বলে ডিআরআই সূত্রে খবর। জুতোর ভিতরে এবং হাঁটুর তলা থেকে পায়ে ব্যান্ডেজের মতো করে বেঁধে তার ভিতরে সোনা লুকিয়ে আনছিল ধৃতেরা। বনগাঁ সীমান্ত থেকে যে গাড়িতে করে এই তিন জন পাচারকারী কলকাতায় আসেন সেই গাড়ির চালক-সহ মোট চার জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy