তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্টে কিন্তু ঘোলা থানার বোর্ডঘর এলাকার স্বঘোষিত চিকিৎসক স্বপনকুমার বিশ্বাসের ডাক্তারি ডিগ্রি ভুয়ো বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট বুধবার পাঠানো হল স্বাস্থ্য ভবনে। একই সঙ্গে ঘোলা থানার পুলিশ তাঁকে ডেকে প্র্যাকটিস বন্ধ করতে বলেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রাঘবেশ মজুমদার বলেন, ‘‘সংবাদ প্রকাশের পরে আমরা তদন্ত করেছিলাম। তাঁর জমা দেওয়া নথি যাচাই করে স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। নির্দেশ এলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ রাঘবেশবাবু জানান, ওই নথি সন্দেহজনক। সে কথাই রিপোর্টে বলা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, নিজেকে শিশু চিকিৎসক দাবি করা স্বপনবাবু প্রেসক্রিপশনে বিদেশি ডিগ্রি লিখে পসার জমিয়েছিলেন। যদিও তার নথি তিনি জমা দিতে পারেননি। নিজেকে বিধানচন্দ্র শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক বলেও দাবি করতেন। একই সঙ্গে কয়েকটি সরকারি হাসপাতালের প্রাক্তন চিকিৎসক বলে প্রেসক্রিপশনের প্যাডে লেখা থাকত। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, অভিযুক্ত অল্টারনেটিভ মেডিসিনের ডিপ্লোমার নথি জমা দিয়েছেন। কিন্তু তা দিয়ে চিকিৎসা করা যায় না। তাঁর ইউনানি ডিগ্রির নথি আসল কি না তা যাচাই করতে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)-এর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এমনকী অভিযোগ, তাঁর প্রেসক্রিপশনে রেজিস্ট্রেশন নম্বরও থাকত না। এ দিকে স্বাস্থ্য বিভাগ তদন্ত শুরু করতেই ঘোলা থানার পুলিশও ওই ব্যক্তিকে ডেকে পাঠায়। তাঁকে বলা হয়েছে, যে সব ডিগ্রি তাঁর আছে বলে দাবি করছেন, তার নথি না থাকা সত্ত্বেও তিনি যদি প্র্যাকটিস করেন, তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। আপাতত তাঁর বোর্ডঘরের চেম্বার তাই বন্ধ। এ দিন ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy