বাইপাসে মেট্রোপলিটনের কাছে থমকে গড়িয়া-দমদম মেট্রোর কাজ।
আগে থেকে সব দিক ভেবে, পরিকল্পনা করে না এগোনোয় ধাক্কা খায় বিভিন্ন প্রকল্প। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ যেমন শেষ করা যায় না, তেমনই ক্রমশ বাড়তে থাকে খরচ।
কোনওটায় আবার পরে বুঝতে পেরে নতুন অংশ নির্মাণ করতে হয়। ভোগান্তি বাড়ে মানুষের। মহানগরীতে এই মুহূর্তে এমন বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলছে যেখানে পরিকল্পনার ত্রুটির জন্য ধাক্কা খাচ্ছে কাজের গতি। কেন যে প্রকল্প শুরুর আগে এ সব সমস্যা সামনে এল না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই।
• মা উড়ালপুল
মা উড়ালপুলের নকশাতেই গলদ ছিল। এজেসি বসু রোড উড়ালপুলের সঙ্গে মা-কে জুড়ে না দেওয়ায় এই উড়ালপুল তৈরির উদ্দেশ্যটাই যে নষ্ট হয়ে গিয়েছে, এ কথা বোঝা গিয়েছিল ব্যবহারের জন্য ওই উড়ালপুলটি খুলে দেওয়ার পরেই। পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়কে যানজট থেকে মুক্ত করতে প্রথমে পশ্চিম থেকে পূর্বের সংযোগকারী সেতুটি তৈরি হয়। এখন তৈরি হচ্ছে পূর্ব থেকে পশ্চিমের অংশ জোড়ার অংশটি। তার জন্য খরচ যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়ে গেছে মানুষের ভোগান্তি।
নতুন সঙ্কটে ইস্ট-ওয়েস্ট। বড়বাজারে সুড়ঙ্গ খুঁড়লে সরাতে হবে ২৫টি বাড়ির বাসিন্দাদের।
• ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো
প্রথম থেকেই পরিকল্পনার অভাবে ভুগছে এই প্রকল্প। সব বাধা পেরিয়ে যখন প্রকল্পটি শেষের মুখে, তখন আবার এল নতুন সমস্যা। মেট্রো জানিয়ে দিল বড়বাজার এলাকার ২৫টি বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র না সরালে সুড়ঙ্গের কাজ করা সম্ভব নয়। সব জট কাটিয়ে কবে যে এই প্রকল্প শেষ হবে, তা বলতে পারছেন না মেট্রো কর্তৃপক্ষও।
সার্কাস অ্যাভিনিউ বন্ধ করে মা উড়ালপুলের বর্ধিত অংশের কাজ চলছে।
• জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো
তারাতলার কাছে টাঁকশালের জমি নিয়ে যে সমস্যা হতে পারে, তা আগে মনে হয়নি কারও। মোমিনপুর স্টেশনের ছাড়পত্র পাওয়া নিয়েও বেজায় কাঠখড় পোড়ানো হয়েছে। মেট্রো সূত্রে জানানো হয়েছে, জোকা-বি বা দী বাগ মেট্রো প্রকল্পে টাঁকশালের জমি মেলা নিয়ে এখন আর কোনও সমস্যা নেই। সেনার অনুমতিও পাওয়া গিয়েছে। এ সত্ত্বেও কবে যে ওই প্রকল্প শেষ হবে, তা অবশ্য বলতে পারছেন না কেউ।
তারাতলায় এসে আটকে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো।
• গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো
প্রয়োজনীয় জমির বেশির ভাগটাই মিলেছে। তবে পাঁচ নম্বর সেক্টরের কাছে একটি এলাকায় ৪টি বাড়ি নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে সমস্যা। মেট্রো কর্তৃপক্ষের আশা, সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে। কিন্তু এই প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে, তা কর্তৃপক্ষেরও অজানা।
ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী এবং রণজিৎ নন্দী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy