আকাশপথে: নবরূপে বিড়লা তারামণ্ডল। মঙ্গলবার তারই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
ছাত্রজীবনে তিনিও এসেছিলেন এখানে। অসংখ্য গ্রহ-তারা ভরা রাতের আকাশ তাঁর মনেও বিস্ময় জাগিয়েছিল! সেই স্মৃতি আজও উজ্জ্বল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে। মঙ্গলবার নতুন রূপে বিড়লা তারামণ্ডলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে ক্ষণিকের জন্য ছাত্রজীবনে ফিরে গেলেন তিনি। বললেন, বিড়লা তারামণ্ডল শিক্ষার কেন্দ্রও। তাঁর মতে, মহাবিশ্বকে জানতে গেলে বিড়লা তারামণ্ডলই একমাত্র স্থান, যা মানুষের কৌতূহলের নিরসন ঘটাতে পারে। মঞ্চে তখন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, সিপি রাজীব কুমার এবং এম পি বিড়লা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হর্ষবর্ধন লোঢা।
অর্ধ শতকেরও বেশি সময় স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক, বিদেশি পর্যটক— সকলেই মজেছেন তারামণ্ডলের বিস্ময়ে। ক্রমে এই দ্রষ্টব্য স্থানটি নিজেই হয়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তার শরীরে দেখা দিতে শুরু করেছিল জরার চিহ্ন। দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘চিকিৎসা’ চলার পরে অবশেষে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করল
বিড়লা তারামণ্ডল।
মমতার মতে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পাশাপাশি কলকাতার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে বিড়লা তারামণ্ডলও। তাই বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে এর স্থান পাওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, গ্রহ-নক্ষত্র, চন্দ্র-সূর্য-তারার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনও।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রায় ৪২ কোটি টাকা খরচ করে নতুন চেহারা দেওয়া হয়েছে তারামণ্ডলকে। বসানো হয়েছে ৯টি উন্নত প্রোজেক্টর। ২২ জুলাই সবর্সাধারণের জন্য তারামণ্ডল খুলে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy