প্রয়োজনের তুলনায় হাইড্রলিক ল্যাডার কম, তাই শহরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছের ডাল কাটতে হিমসিম খাচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, উঁচু বা বড় গাছের ডাল ভেঙে গেলে গাছ কাটা অথবা ডাল ছেঁটে তা পরিষ্কার করতে এই ল্যাডার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে পুরসভার কাছে এমন ১২টি হাইড্রলিক ল্যাডার রয়েছে। অথচ প্রয়োজন অন্তত এর দ্বিগুণ। ফলে ঝড়-বৃষ্টিতে বড় কোনও বিপর্যয় হলে দ্রুত ল্যাডার নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারছেন না পুরকর্মীরা।
শহরে হাইড্রলিক ল্যাডারের সংখ্যা যে প্রয়োজনের তুলনায় কম, সে কথা স্বীকার করেছেন খোদ পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমারও। তিনি বলেন, ‘‘নতুন ল্যাডার কেনার পরিকল্পনা থাকলেও জায়গার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।’’
পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই ল্যাডারগুলির উচ্চতা প্রায় ৩৫ ফুট। পুর দফতরের কোনও ভবনে এত উঁচু জায়গা না থাকায় সমস্যা রয়েই গিয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত যে ক’টি ল্যা়ডার কেনা হয়েছে সেগুলি পুরসভার বিভিন্ন পার্কে রাখা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে সমস্যা। প্রথমত, শহরে পার্কগুলি ছোট। সেখানে প্রচুর ল্যাডার একসঙ্গে রাখা সম্ভব নয়। একটি বা দু’টি ল্যাডার থাকলেই পার্কের জায়গা ভরাট হয়ে যায়। তাতে চলাফেরার জায়গা থাকে না বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের। এক পুর আধিকারিকের অভিযোগ, পুরসভার নিজস্ব জমি ছাড়া ফাঁকা জমিতে এগুলি রাখতে গেলে সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি প্রয়োজন। সেই অনুমতিও সব সময়ে মেলে না।
কলকাতা পুরসভার উদ্যান দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী কলকাতা পুরসভার মোট ১৬টি বরোতে ১৬টি ল্যা়ডার থাকার কথা। কিন্তু গত কয়েক বছরে ১২টির বেশি কেনা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে আরও চারটি ল্যাডার কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া দেবাশিসবাবু জানিয়েছেন, পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলকাতা বন্দর, কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভালপমেন্ট অথরিটি এবং বিভিন্ন দফতরকে ফের তাদের সংশ্লিষ্ট জমিতে ল্যা়ডার রাখার ব্যাপারে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় অনুমতি মিলবে। ফলে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে বলেও দাবি মেয়র পারিষদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy