ক্লারা বংশরাই খোঙসিট
বিমানসেবিকা ক্লারা খোঙসিটের মৃত্যুর জট খুলতে তাঁর দুই বন্ধু সুরজ সিতোদিয়া এবং ইবলিম ননগ্রামকে নিয়ে পুলিশ ছুটে বেড়াচ্ছে পার্ক স্ট্রিট থেকে কেষ্টপুর। পার্ক স্ট্রিটের যে নাইট ক্লাবে তাঁরা পার্টি করেছিলেন, তাঁদের নিয়ে সেই ক্লাবে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। পার্ক স্ট্রিট থেকে কেষ্টপুর ফেরার পথে বাইপাসের যে ধাবা থেকে তাঁরা খাবার কিনেছিলেন, শনিবার সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সুরজ ও ইবলিমকে। যে অ্যাপ-ক্যাবের চালক তাঁদের কেষ্টপুর নিয়ে গিয়েছিলেন, রবিবার তাঁকেও জেরা করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, কেষ্টপুর ফেরার পথে ওই অ্যাপ ক্যাবটি ধাবার কাছে দাঁড় করানো হয়েছিল। চালকের বয়ান অনুযায়ী, ইবলিম এতটাই মদ খেয়ে নেন যে গাড়ি থেকে নামার অবস্থায় ছিলেন না। ক্লারা ও সুরজ নেমে তন্দুরি রুটি ও চিকেন কেনেন। যদিও ফ্ল্যাটে ফিরে তা রেখে দেওয়া হয় ফ্রিজে।
ক্লারার পরিবারের তরফে এখনও বিধাননগর পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তাঁরা সকলে রয়েছেন শিলংয়ে। রবিবার ফোন করলে ক্লারার বোন জানান, তাঁরা কিছুই বলতে চান না। কবে পুলিশে অভিযোগ জানাবেন বা আদৌ জানাবেন কি না, সে প্রশ্নেরও জবাব পাওয়া যায়নি।
১৬ অগস্ট ভোরে কেষ্টপুরে ফ্ল্যাটের সামনের রাস্তায় দেহ পড়েছিল ক্লারার। পুলিশের দাবি, পড়েই মৃত্যু হয়েছে ওই বিমানসেবিকার। চারতলায় তাঁর ফ্ল্যাটের জানলায় গ্রিল নেই। সেই জানলা গলে ক্লারা পড়ে যান। তবে তিনি মত্ত অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলেন, না তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে ঘটনার চার দিন পরেও পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, ১৫ অগস্ট রাতে বেঙ্গালুরুর উড়ানে কলকাতায় ফেরেন ক্লারা। ইবলিমের জন্মদিনের পার্টিতে যান পার্ক স্ট্রিটে। সেখান থেকে সুরজ ও ইবলিমের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ফেরেন রাত ২টোর পরে। তার পর থেকে ক্লারা পড়ে যাওয়া পর্যন্ত ঘটনাক্রম এখনও সাজিয়ে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, সে দিন প্রচুর মদ্যপান করেছিলেন সুরজ ও ইবলিম। ফলে তাঁরা যে বর্ণনা দিচ্ছেন, তা-ও পুরো বিশ্বাস হচ্ছে না পুলিশের।
পুলিশ সূত্রের খবর, ক্লারা কলকাতায় নেমে প্রথমে কেষ্টপুরে আসেন। সেখান থেকে যান পার্ক স্ট্রিটে। জানা গিয়েছে, তার আগেই ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন সুরজ ও ইবলিম। পুলিশ জানিয়েছে, জন্মদিন উপলক্ষে ইবলিম দু’সেট পোশাক কেনেন। একটি নিজের, অন্যটি ক্লারার জন্য। ক্লারার ফ্ল্যাটে পোশাক পাল্টে, নতুন পোশাক পরে সুরজকে নিয়ে ইবলিম চলে যান পার্ক স্ট্রিট। ওই ফ্ল্যাটের চাবি থাকে এক প্রতিবেশীর কাছে। সেখান থেকে চাবি নিয়ে ইবলিম ক্লারার ফ্ল্যাটে ঢুকেছিলেন। ক্লারা বিমানবন্দর থেকে আসার পরে ইবলিমের রেখে যাওয়া নতুন পোশাক পরে রাত পৌনে ১১টা নাগাদ পার্ক স্ট্রিট রওনা হয়ে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy