এ ভাবেই কাটা হয়েছে চালের লোহার গ্রিল। নিজস্ব চিত্র
প্রথমে টিনের চাল। তার নীচে লোহার গ্রিল, তারও নীচে প্লাইউডের ‘ফল্স সিলিং’। একে একে সব কেটে কাচের শোকেসের উপরে নেমে এল চোর। ধীরেসুস্থে ব্যালান্স রেখে এগিয়ে একে একে তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা বিকল করে দিল সে। তার পরে হাতসাফাই করেই চম্পট!
তার আগে অবশ্য দেখা গিয়েছে, চোরের মুখ মুখোশে ঢাকা। এক হাতে টর্চ, অন্য হাতে তার কাটার ‘প্লাস’। পরণে হাঁটু পর্যন্ত গোটানো ট্রাউজার্স আর জ্যাকেট।
দিন সাতেক আগে হরিদেবপুর থানা থেকে কয়েকশো মিটার দূরের এক মোবাইলের দোকানে চুরির এই দৃশ্য ধরা পড়েছে সেখানকারই সিসিটিভি ক্যামেরায়। হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের সময়ে পুলিশের হাতে সেই সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দিয়েছেন দোকানের মালিক রাজনকুমার সাহা। তবে তাতে কোনও কাজ হয়নি বলে দাবি তাঁর। রাজকুমারবাবুর অভিযোগ, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দিলেও গত সাত দিনে পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। থানায় গেলে তদন্ত চলছে বলে বারবার ঘোরানো হচ্ছে।’’ হরিদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের দাবি, ফুটেজ পাওয়ায় তাঁদের সুবিধাই হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই চুরির কিনারা হবে। সেই সঙ্গে ওই আধিকারিক জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকেই তিনি হরিদেবপুর থানার দায়িত্ব নিয়েছেন। ফলে এই ঘটনা সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেন না। খোঁজ
নিয়ে দেখছেন।
হরিদেবপুরের এম জি রোডে বাড়ি রাজনকুমারের। ১০ বছর ধরে ক্যাওড়াপুকুর বাজারে রয়েছে তাঁর ওই মোবাইলের দোকান। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যান রাজনকুমার। তিনি জানান, পরের দিন সকালে দোকানে ফিরে দেখেন, ভিতরের সব কিছু লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে। শোকেস ফাঁকা। রাজনের দাবি, সাড়ে ছ’লক্ষেরও বেশি টাকার মোবাইল ফোন, ৭৫ হাজার টাকা নগদ এবং একটি ল্যাপটপ চুরি গিয়েছে তাঁর দোকান থেকে। গত রবিবারই হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজনকুমার।
রাজনকুমারের দাবি, চোর দোকানের সবটাই জানত। তিনি বলেন, ‘‘নিরাপত্তার জন্য দোকানে কোল্যাপসিব্ল গেট, লোহার শাটার এবং চালের নীচে লোহার গ্রিল বসিয়েছিলাম। চোর সে সব জানত।’’ চোর লোহা কাটার যন্ত্রও সঙ্গে এনেছিল বলে জানান রাজনকুমার। সেগুলি অবশ্য দোকানেই ফেলে গিয়েছে চোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy