বিয়ের মরসুমেও হাসি নেই ফুলের কারবারিদের মুখে।
প্রবল গরমে শনিবারের কালবৈশাখী শহরকে সামান্য স্বস্তি দিয়েছে ঠিকই, তবে তাতে পুরোপুরি স্বস্তি পাচ্ছেন না ফুলচাষি ও ফুলের ব্যবসায়ীরা। গরমের চোটে ফুলের কুঁড়ি শুকিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে বিয়ের মরসুমেও মুখে চিন্তার ভাঁজ কলকাতা তথা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ফুল ব্যবসায়ীদের। অবিলম্বে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা না হলে তাঁরা আর্থিক ভাবে ভাল মতো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মল্লিকঘাট ফুলবাজারে ফুল নিয়ে আসা চাষিরা।
কী সমস্যা হচ্ছে গরমে? চাষিরা জানাচ্ছেন, খুব ভোরে ফুল তুললেও সেই ফুল বাজারে আনতে আনতে রোদের তাপ বেড়ে যাচ্ছে। বেলা বাড়তে না বাড়তেই গরমে সেই ফুলের কুঁড়ি শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্রেতারা বাজারে এসে ফুল কিনলেও সেই ফুলের ঠিকমতো দাম উঠছে না। যে কারণে বিয়ের মরসুমেও ফুলের দাম তলানিতে পড়ে রয়েছে বলে জানালেন ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ীরা।
মল্লিকঘাট ফুল বাজারে প্রতিদিন পসরা সাজিয়ে বসেন ফুলচাষি গৌরীশঙ্কর ঘাঁটা। তিনি বললেন, ‘‘বৃষ্টি নেই। ফলে জল সেচের খরচ বেড়ে গিয়েছে। তার উপরে এমন কিছু কিছু ফুল রয়েছে, যেগুলি লোক লাগিয়ে তুলতে হয়। যে কারণে লাভের গুড় পিঁপড়েতে খেয়ে যাচ্ছে।’’
রাজ্য ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ নায়েক জানান, বেলফুলের দাম বাজারে প্রতি কেজি ৩০ টাকা। কিন্তু সেই ফুল যাঁরা তোলেন, তাঁদের কেজি পিছু ২০ টাকা দিতে হচ্ছে। ফলে চাষির হাতে আর তেমন কিছুই থাকছে না।
মল্লিকঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, অত্যধিক গরমে ফুল শুকিয়ে যাওয়ায় বিয়ের দিন হওয়া সত্ত্বেও শনিবার একশো গোলাপের তোড়ার দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে, যা অন্য সময়ে অন্তত ১০০ টাকা হয়। একই কারণে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও রজনীগন্ধার দাম প্রতি কেজি ৩০ টাকায় নেমে গিয়েছে। যা অন্তত ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy