পারাপারের পরিচিত ছবি। —নিজস্ব চিত্র।
স্ট্যান্ডে বাস ঢুকছে, বেরোচ্ছে। পাশেই সার দিয়ে অটো দাঁড়িয়ে। এরই মধ্যেই রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা। এক পথচারীর সামনে একটি গাড়ি জোরে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে গেল। একটুর জন্য দুর্ঘটনা ঘটল না। ঘটনাস্থল যাদবপুরের এইট-বি মোড়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এমন ঘটনা এই মোড়ে প্রায়ই ঘটে। কারণ, পথচারী ও চালকদের একাংশের সচেতনতার অভাব। এর পাশাপাশি ঠিকমতো ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ হয় না বলেও অভিযোগ উঠছে।
এইট-বি মোড়ের কাছেই রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রয়েছে অসংখ্য দোকান, বাজার। এটি দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত মোড়। এই স্ট্যান্ড থেকে ধর্মতলা, সল্টলেক, হাওড়া-সহ বিভিন্ন এলাকার বাস ছাড়ে। ফলে জনসমাগম লেগেই থাকে। অভিযোগ, এই ব্যস্ত মোড়ে অধিকাংশ সময়ে পুলিশের দেখা মেলে না। কাছেই পুলিশ কিয়স্কটি বেশির ভাগ সময়ে খালি পড়ে থাকে। পুলিশের ঠিকমতো নজরদারি না থাকায় যাদবপুর থানার মোড়ের পর থেকে চালকদের একাংশ ইচ্ছেমতো ইউ-টার্ন নেন বলেও অভিযোগ জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা।
এই মোড়ের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা নিয়ে পথচারী ও গাড়ি চালকরা একে অপরকে দোষারোপ করেছেন। চালকদের অভিযোগ, এখানে পথচারীদের একাংশ ঠিকমতো সিগন্যাল মানেন না। সিগন্যাল খোলা থাকলেও অনেক সময় ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পেরিয়ে যান। এর জেরে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। অন্য দিকে, পথচারীদের অভিযোগ, সিগন্যাল লাল থাকলেও চালকদের একাংশ গাড়ি দাঁড় করান না। তবে রাস্তার পাশে সার দিয়ে অটো দাঁড়ানোয় গাড়ি ও পথচারীর যাতায়াতে অসুবিধা হয় বলে মানছেন চালক ও পথচারীরা। অভিযোগ, পুলিশি নজরদারির অভাবেই এখানে অটোস্ট্যান্ড গজিয়ে উঠেছে। এতে যানজটও হয়। একই সমস্যা রয়েছে রাসবিহারীর মোড়, প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোড কানেক্টরেও।
ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে ঢিলেঢালা ভাবের কথা অস্বীকার করে পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘‘এখানে পাঁচ জন করে পুলিশ পোস্টিং করা হয়। তবে রাস্তা পারাপারের সমস্যা রয়েছে। কারণ, সচেতনতার অভাব। নিয়ম ভেঙে পারাপারের জন্য মাত্র দশ টাকা জরিমানা, এতে সমস্যার সমাধান হবে না। কাছেই সাবওয়ে রয়েছে। এই সাবওয়ের একটা মুখ এইট-বি মোড়ের কাছে তৈরি করা যায় কি না তা নিয়ে পুরসভার কথা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy