এসএসকেএম হাসপাতালে ফের এক দালাল চক্রের হদিস পেল পুলিশ। যে চক্র রোগীকে ভর্তি করানো ও ওষুধের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রোগীর বাড়ির লোকদের থেকে টাকা নিত।
সোমবার বিকেলে ওই চক্রের এক যুবক ও এক মহিলাকে হাসপাতাল চত্বর থেকে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, বার বার তাঁদের সঙ্গে পুলিশের বৈঠকের পরে এখন সাদা পোশাকের পুলিশ হাসপাতাল চত্বরে নজরদারি রাখছে। সেই নজরদারি সূত্রেই এ দিন ওই দু’জন ধরা পড়ে। ধৃতদের নাম, রাজা মণ্ডল ও অনিতা কর্মকার।
অভিযোগ, ধৃতেরা এক রোগীর বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা চেয়েছিল, অগ্রিমও পেয়েছিল পাঁচ হাজার। তদন্তকারীরা জানান, ধৃত রাজা মণ্ডলের বাবা রামস্বরূপ মণ্ডল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, তাই সে হাসপাতাল চৌহদ্দির মধ্যে স্টাফ কোয়ার্টার্সে থাকে। অন্য ধৃত অনিতা কর্মকারের বাড়ি বোড়ালের চণ্ডীপুরে।
পুলিশ জানায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালির বাসিন্দা ভোলানাথ সর্দার নামে এক মধ্যবয়স্ক রোগীর ছেলে শান্তনুর কাছ থেকে টাকা নিতে গিয়ে ওই দু’জন এ দিন ধরা পড়ে যায়। মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে দেওয়া এবং ওষুধের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শান্তনু সর্দারের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা অগ্রিম নেয় অনিতা। রোগীর পরিজনদের সে জানায়, ভর্তি করানোর পরে আরও পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। এর পরে অনিতা তাঁদের রাজার কাছে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ দু’জনকে বমাল ধরে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোলানাথবাবু বেশ কিছু দিন ধরে অগ্ন্যাশয়ের সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু হাসপাতালে শয্যা পাচ্ছিলেন না। সোমবার ফের তাঁকে নিয়ে বাড়ির লোকজন মেডিসিন ওয়ার্ডে পৌঁছে শোনেন, এ দিনও রোগী ভর্তি হতে পারবেন না। সেই সময়ে অনিতা গিয়ে তাঁদের ওই প্রস্তাব দেয়।
রাজা ও অনিতা এই কারবার কত দিন ধরে চালাচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন অবশ্য ভোলানাথবাবু মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পেরেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy