—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতায় পড়তে এসে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ঘাটশিলার তরুণী সুস্মিতা রায়। পরে গঙ্গা থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। সুস্মিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ করে খুনের অভিযোগে সুস্মিতার দুই বন্ধুকে গ্রেফতারও করে কালীঘাট থানার পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে অপহরণ ও খুনের অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। বরং ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের দাবি, আত্মহত্যার কথা জানিয়ে শীঘ্রই আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। খুন না হলেও ধৃতদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারা যুক্ত করা হবে। চার্জশিটের সঙ্গে সুস্মিতা এবং ধৃতদের মোবাইলের ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টও জমা পড়বে।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত নভেম্বরে বিমানসেবিকার প্রশিক্ষণ নিতে কলকাতায় আসেন সুস্মিতা। কালীঘাটে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন। ১০ ডিসেম্বর বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। ১৮ ডিসেম্বর গঙ্গার মোদীঘাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সুস্মিতার বাবা জহর রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গুরমীত সিংহ ও বিবেক চাড্ডা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
লালবাজারের খবর, দেহ উদ্ধারের সময়ে সুস্মিতার দু’টি মোবাইল পাওয়া যায়নি। পরবর্তী কালে অন্য এক যুবকের কাছ থেকে তা উদ্ধার হয়। ১০ ডিসেম্বর রাতে এক তরুণীকে হাওড়া ব্রিজ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে দেখেছিলেন ওই যুবক। সুস্মিতার ফেলে যাওয়া মোবাইলগুলি কুড়িয়ে নেন তিনি। সিসিটিভি-র ফুটেজ না থাকায় ওই যুবককে দিয়ে আদালতে গোপন জবানবন্দিও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
পুলিশ জেনেছে, বিবেক ও গুরমীত, দু’জনের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠতা ছিল সুস্মিতার। এ নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। আত্মঘাতী হওয়ার আগেও দু’জনের সঙ্গে মোবাইলে ‘কনফারেন্স কল’-এ প্রবল বাদানুবাদ হয়েছিল ওই তরুণীর। তার পরেই কালীঘাটের বা়ড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। রাত ১১টা নাগাদ তিনি এক বান্ধবীকে ‘আই অ্যাম গন’ বলে শেষ মেসেজ পাঠান। সম্পর্কের টানাপ়ড়েনেই এই ঘটনা বলে অনুমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy