প্রতীকী ছবি।
রোগীমৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ তুলে কর্মরত এক জুনিয়র ডাক্তারকে মারধরের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই ঘটনা ঘটে। ধৃতের নাম নারায়ণ রায়। তিনি মৃত রোগীর দাদা। শনিবার তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক নারায়ণকে চার দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, নারকেলডাঙার গুরুদাস রোডের বাসিন্দা রীতা চক্রবর্তী (৩৬) নামে এক মহিলা নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে প্রথমে পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
সেখান থেকে শুক্রবার রাতে ওই মহিলাকে নীলরতন সরকারে স্থানান্তরিত করানো হয়। ভর্তির কয়েক ঘণ্টা পরে তিনি মারা যান। এর পরেই চিকিৎসার গাফিলতিতে রীতাদেবীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহিলার বাড়ি ও পাড়ার লোকজন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময়ে হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্র লেংডিংবাং জামির। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা তাঁর উদ্দেশে প্রথমে গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁর উপরে চড়াও হয়ে জামা ধরে টেনে নিগ্রহ করা হয়। তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে যান হাসপাতালে মোতায়েন থাকা পুলিশকর্মীরা। তাঁদের সামনেই ওই ছাত্রকে মারধর করা হচ্ছে দেখে পুলিশকর্মীরা নারায়ণকে প্রথমে নিরস্ত করেন ও পরে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ জানায়, রীতাদেবীর পরিবারের অভিযোগ, বেশি রাতে তাঁকে হাসপাতালে আনা হলেও চিকিৎসকেরা গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করছিলেন না। চিকিৎসার অভাবেই ওই মহিলা মারা যান। সেই কারণেই তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন ও বিক্ষোভ দেখান। তবে এই অভিযোগ লিখিত ভাবে জানানো হয়নি পুলিশকে। এনআরএসের সুপার সৌরভ চট্টোপাধ্যায় এই অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। অভিযোগ ঠিক নয়।’’ তবে মেডিসিন বিভাগের ওই ছাত্রের চোট গুরুতর নয় বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
শনিবার পুলিশ জানায়, চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত। তাঁদেরও খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy