Advertisement
০২ মে ২০২৪
হুগলিতে বাস ধর্মঘট

অটো-টোটোয় বেশি ভাড়া গুনেও ভোগান্তি যাত্রীর

জেলা জুড়ে বেআইনি ভাবে যাত্রী পরিবহণ রুখতে সোমবার হুগলিতে বাস-মালিকদের ডাকা ধমর্ঘটে তিনটি মহকুমায় চুড়ান্ত নাকাল হতে হল সাধারণ মানুষকে। আরামবাগ মহকুমা বাদে জেলার অন্যত্র বাস-মিনিবাস কার্যত চলেনি। জেলা সদর চুঁচুড়ায় বাস ধমর্ঘটের পাশাপাশি ট্রেকার ধর্মঘটও হয়।

দিনভর রাস্তায় নামেনি একটিও। চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ডে নিজস্ব চিত্র।

দিনভর রাস্তায় নামেনি একটিও। চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ডে নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৬
Share: Save:

জেলা জুড়ে বেআইনি ভাবে যাত্রী পরিবহণ রুখতে সোমবার হুগলিতে বাস-মালিকদের ডাকা ধমর্ঘটে তিনটি মহকুমায় চুড়ান্ত নাকাল হতে হল সাধারণ মানুষকে। আরামবাগ মহকুমা বাদে জেলার অন্যত্র বাস-মিনিবাস কার্যত চলেনি। জেলা সদর চুঁচুড়ায় বাস ধমর্ঘটের পাশাপাশি ট্রেকার ধর্মঘটও হয়। চন্দননগরে আবার বন্ধ ছিল অটো। ফলে, সপ্তাহের প্রথম দিন এই দুই শহরের মানুষ চূড়ান্ত নাকাল হন।

বাস-মালিকদের অভিযোগ, বেআইনি ভাবে বহু গাড়ি জেলায় চলছে। ফলে, তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পারছেন না। বাস-মালিকদের সমস্যার কথা মেনে নিলেও জেলা পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা ধর্মঘট নিয়ে কড়া মনোভাবই ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা জানান, ধর্মঘট সমস্যা সমাধানের মাধ্যম হতে পারে না। ভবিষ্যতে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বাসের পারমিট বাতিলে ভাবনাচিন্তা করা হবে। বেআইনি যাত্রী পরিবহণের বিরুদ্ধে আগে অভিযান চালিয়ে সমস্যা কিছুটা মিটেছিল। আবারও অভিযান চালানো হচ্ছে।

জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা সৈকত দাস অবশ্য বলেন, “ওঁরা বাস চালু রেখে আন্দোলন করতে পারতেন। বাস বন্ধ করায় বহু মানুষের হয়রানি হয়েছে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলিতে মোট ৪৫টি রুটে প্রায় বারোশো বাস-মিনিবাস এবং দূরপাল্লার বাস চলে। এ দিন সকাল থেকেই বাসের দেখা না পেয়ে গন্তব্যে পৌছতে অন্য যানবাহনের উপর নির্ভর করতে হয়েছে যাত্রীদের। অনেককেই দেখা গিয়েছে, বাস না পেয়ে হাঁটাপথ বেছে নিয়েছেন। কেউ একাধিক বার অটো-টোটো বদল করে, আবার কেউ রিকশায় চেপে গন্তব্যে পৌঁছন। তাতে খরচও হয় বেশি। ফেরার পথেও একই হ্যাপা পোহাতে হয়েছে তাঁদের। জেলা সদর চুঁচুড়া, ব্যাণ্ডেল, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, পাণ্ডুয়া, ধনেখালি-সহ সর্বত্রই একই ছবি চোখে পড়েছে। চন্দননগরে আবার রুট ভাঙা অটো বন্ধের দাবিতে বৈধ রুটের অটো-চালকেরাও ধর্মঘট করেন। একই কারণে চুঁচুড়ায় ট্রেকার চলেনি। ফলে, এই সব জায়গায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে অনেক বেশি। আরামবাগ মহকুমায় অবশ্য বাস চলেছে। শ্রীরামপুর-বাগবাজার ৩ নম্বর রুটেও কিছু বাস চলতে দেখা গিয়েছে।

এ দিনের ধর্মঘট নিয়ে জেলা বাস-মিনিবাস সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি দেবব্রত ভৌমিক বলেন, “বেআইনি গাড়ির সমস্যা তো নতুন নয়! পরিবহণ শিল্পকে বাঁচাতে অজস্র বার এ নিয়ে আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন-নিবেদন করেছি। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা কোণঠাসা। এ ভাবে কাঁহাতক আর লোকসানে বাস চালানো যায়! পরিস্থিতির বদল না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE