Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

অটোয় ট্যাঙ্কারের ধাক্কা, আহত ৫ পড়ুয়া

অল্পের জন্য পাঁচ স্কুলপড়ুয়ার প্রাণ বাঁচল। স্কুল ছুটির পর দুই অভিভাবক এবং আরও কিছু যাত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক স্কুলের চার ছাত্রী ও এক ছাত্র উঠেছিল একটি অটো রিকশায়। চরম বিপজ্জনক হলেও, এ ভাবেই যাত্রীদের ঠাসাঠাসি করে মুম্বই রোড দিয়ে যান অটোচালকরা। সোমবার বাগনানের মানকুর মোড়ের কাছে একটি তেলের ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই অটো রিকশার পিছনে ধাক্কা মারে।

বাগনানে দুর্ঘটনাগ্রস্ত অটো। ছবি: সুব্রত জানা

বাগনানে দুর্ঘটনাগ্রস্ত অটো। ছবি: সুব্রত জানা

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাগনান শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৪ ০২:১১
Share: Save:

অল্পের জন্য পাঁচ স্কুলপড়ুয়ার প্রাণ বাঁচল। স্কুল ছুটির পর দুই অভিভাবক এবং আরও কিছু যাত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক স্কুলের চার ছাত্রী ও এক ছাত্র উঠেছিল একটি অটো রিকশায়। চরম বিপজ্জনক হলেও, এ ভাবেই যাত্রীদের ঠাসাঠাসি করে মুম্বই রোড দিয়ে যান অটোচালকরা। সোমবার বাগনানের মানকুর মোড়ের কাছে একটি তেলের ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই অটো রিকশার পিছনে ধাক্কা মারে। অটো থেকে ছিটকে পড়ে খুদে পড়ুয়ারা। ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে যায় অটো। চালক-সহ আহত হ’ন ন’জন। ভাগ্যক্রমে কারও আঘাত তেমন গুরুতর নয়। দুর্ঘটনার পরেই ট্যাঙ্কারের চালক পালিয়ে যায়। ট্যাঙ্কারটিকে পুলিশ আটক করেছে।

মুখের কথায় স্থানীয় মানুষ ‘অটো রিকশা’ বললেও, বাগনান-কোলাঘাট রুটে মুম্বই রোডের উপর দিয়ে চলা এই গাড়িগুলি কার্যত মালবাহী ম্যাটাডোর। পিছনে বেঞ্চ বসিয়ে, মাথায় ছাউনি দিয়ে সেগুলিকে যাত্রীবাহী করা হয়েছে। বেআইনি এই গাড়ির ছাড়পত্র নেই, চালকদেরও লাইসেন্স নেই। মুম্বই রোডে চলার অনুমতিও নেই। ফলে চালকরা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালান। দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাণের ঝুঁকি যেমন আছে, তেমনই কোনও ক্ষতিপূরণ বা বিমার সুযোগ পাওয়া যাবে না। অথচ নিয়মিত দুর্ঘটনার মুখে পড়ে এই গাড়িগুলি। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশকর্মীদের মদতেই মুম্বই রোডে বেআইনিভাবে অটো চলছে। পুলিশের পাল্টা দাবি, মাঝেমাঝেই বেআইনি অটো রিকশাগুলি ধরতে অভিযান চলে। কিন্তু যাত্রীদের চাপেই অভিযান বন্ধ করতে হয়।

এ দিনের দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোলাঘাটমুখী ট্যাঙ্কারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটো রিকশাটির পিছনে এসে ধাক্কা মারে। অটো রিকশাটি ছিটকে রাস্তার ধারে পড়ে যায়। যাত্রীরাও ছিটকে পড়েন। আহতদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যান বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে একজন অভিভাবক-সহ দু’জনকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। বাকি সাতজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE