Advertisement
০৯ মে ২০২৪

অরূপ-হত্যায় অবশেষে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত আনন্দ

সালকিয়ায় অরূপ ভাণ্ডারী খুনের ঘটনায় অবশেষে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত আনন্দ প্রসাদ। সোমবার সিআইডি ও হাওড়া সিটি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে হাওড়া-দিঘা বাসস্ট্যান্ডের কাছ থেকে গ্রেফতার করে তাকে। ধৃতকে এ দিন হাওড়ার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হাজির করানো হলে সিআইডি তাকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট পাঁচ জন অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিল সিআইডি। যদিও এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত লালবাহাদুর সাউ এখনও ফেরার।

ধৃত আনন্দ প্রসাদ।—নিজস্ব চিত্র।

ধৃত আনন্দ প্রসাদ।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৪২
Share: Save:

সালকিয়ায় অরূপ ভাণ্ডারী খুনের ঘটনায় অবশেষে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত আনন্দ প্রসাদ। সোমবার সিআইডি ও হাওড়া সিটি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে হাওড়া-দিঘা বাসস্ট্যান্ডের কাছ থেকে গ্রেফতার করে তাকে। ধৃতকে এ দিন হাওড়ার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হাজির করানো হলে সিআইডি তাকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট পাঁচ জন অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিল সিআইডি। যদিও এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত লালবাহাদুর সাউ এখনও ফেরার।

গত ২৮ জানুয়ারি রাতে সরস্বতী পুজোর বিসর্জনের সময়ে রাস্তার পাশে শোভাযাত্রা দেখার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের আনন্দ ও তার দলবল নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন বছর চব্বিশের অরূপ। অভিযোগ, বিসর্জন সেরে ফেরার সময়ে এ নিয়ে প্রথমে জি টি রোডের উপরে সম্মিলনী পার্কের সামনে অরূপদের গাড়ি থামিয়ে হুমকি দেয় আনন্দ এবং তার দলবল। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসাও হয়। কিন্তু তখনকার মত সব মিটে গেলেও অভিযোগ, পাড়ায় ঢোকার পরেই আনন্দ ও তার দলের হাতে আক্রান্ত হন অরূপ এবং তাঁর বন্ধু অভিজিৎ বসু। পুলিশ জানায়, প্রথমে অভিজিৎকে মেরে নর্দমায় ফেলে দেয় আক্রমণকারীরা। এর পরে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় অরূপকে। শেষে রাস্তার পাশে থাকা একটা লোহার চেয়ার দিয়ে মাথায় বারবার আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে অরূপ। পরে ২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।

পুলিশের দাবি, ঘটনার পরদিন ভোরে সালকিয়ার ভাড়া বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ে নিজেদের দেশের বাড়িতে আশ্রয় নেয় অভিযুক্তেরা। খবর পেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশ ও সিআইডি হানা দিলে সেখান থেকেও গা ঢাকা দেয় তারা। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরার পরে আনন্দ জানায়, এত দিন সে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। তল্লাশির চাপে হাওড়ায় ফিরে আসে। সোমবার ফের পালানোর মতলবে সে যখন হাওড়া স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল, তখনই খবর পেয়ে পুলিশ ও সিআইডি তাকে ধরে তাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE