আদালতে পথে ভুয়ো আইনজীবী।—নিজস্ব চিত্র।
আইনজীবী সেজে একের পর এক প্রতারণা করে চলেছিলেন মহিলা। কিন্তু বাদ সাধলেন আইনজাবীরাই। মহিলা ভুয়ো আইনজীবীর মুখোশ খুলে দিলেন তাঁরা। ঘটনাটি চন্দননগর মহকুমা আদালতের। সবিকা দাস দেবনাথ নামে ভুয়ো ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দননগরের মহাডাঙা কলোনির নিরঞ্জন নগরের বাসিন্দা সবিতাদেবী কয়েক বছর ধরে চন্দননগর আদালতে আইনজীবীর কাজ করছিলেন। কিন্তু তাঁর কাজকর্মে অন্যান্য আইনজীবিদের সন্দেহ হতে থাকে। যদিও সবিতাদেবী দাবি করেছিলেন, তিনি আইন পাশ করেই এই পেশায় নেমেছেন। আইন সংক্রান্ত সমস্ত যাবতীয় নথিপত্র তাঁর কাছে রয়েছে। কিন্তু অন্য আইনজীবিরা সেই নথি দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। আদালতের অন্য আইনজীবীদের দাবি, সবিতাদেবীর কাছে আইনজীবি পেশায় যুক্ত থাকার যে শংসাপত্র রয়েছে তা ভুয়ো। এরকম কোনও শংসাপত্র চন্দননগর আদালতে নথিভুক্ত হয়নি। তাঁদের অভিযোগ, সবিতাদেবী আগে সিভিল বার লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিক ছিলেন। হঠাৎই আইনজীবী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। যদিও দলিল সংক্রান্ত কাজ এবং এফিডেফিট ছাড়া আর কোনও কাজ করতেন না সবিতা। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৩ সাল থেকে সবিতা দাস দেবনাথ চন্দননগর আদালতে ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে আইনজীবীর প্র্যাকটিস শুরু করেছিলেন। কিন্তু বিচারপ্রার্থীরা তার কাজে সন্তুষ্ট না হয়ে অন্যান্য আইনজীবিদের কাছে নালিশ করতে থাকেন। সন্দেহ হয় অন্য আইনজীবীদের। চন্দননগর বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বার কাউন্সিলের কাছে সবিতাদেবীর এই বেআইনি কাজ সম্পর্কে জানানো হয়। বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। দেখা যায় সবিতাদেবী যে শংসাপত্র নিয়ে আইনবিষয়ক কাজ করছেন তা ভুয়ো। এরপর বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সবিতাদেবীর বিরুদ্ধে আদালত ও থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy