Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

আমতায় ধর্ষণ করে খুন নয়, বলছে পুলিশ

হাওড়ার আমতার পাত্রপোলের কাছে একটি বেসরকারি বিএড কলেজের মাঠ থেকে যে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তাকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেই এই প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তার দেহে ধর্ষণের কোনও চিহ্ন ময়না তদন্তের রিপোর্টে মেলেনি বলে পুলিশের দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আমতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ০২:২৭
Share: Save:

হাওড়ার আমতার পাত্রপোলের কাছে একটি বেসরকারি বিএড কলেজের মাঠ থেকে যে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তাকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেই এই প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তার দেহে ধর্ষণের কোনও চিহ্ন ময়না তদন্তের রিপোর্টে মেলেনি বলে পুলিশের দাবি।

প্রসঙ্গক, গত রবিবার রাত ৮টা নাগাদ ওই কলেজের মাঠ থেকে কিশোরীর দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। কলেজ থেকেই আমতা থানায় ফোন করে মাঠে দেহ পড়ে থাকার খবর দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে আনে। জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা রাতে এবং পরের দিন সরেজমিন তদন্তে ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর বয়স আনুমানিক ১৪। তার পরনে ছিল সালোয়ার কামিজ। মাথার পিছনের ডান দিকে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আঘাতের তীব্রতা এতটাই ছিল যে মাথার খুলির কিছুটা বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। কিশোরীর গলায় ফাঁসের দাগও ছিল। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ওই কিশোরীর মাথায় আঘাত এবং গলায় ফাঁসের প্রমাণ থাকার কথা জানানো হয়েছে।

জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিশোরী খুনের ঘটনায় দেখা গিয়েছে, খুনের আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়। কিন্তু এই কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের কোনও চিহ্ন না মেলায় পুলিশ এখন খুনের মোটিভ নিয়ে ধন্দে পড়েছে।

প্রাথমিক তদন্তের শেষে পুলিশের অনুমান, ওই কিশোরীকে খুন করা হয়েছে বেশ পরিকল্পনা করে। তাকে বাইরে কোথাও খুন করে দেহটি এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। এমনকী তার দেহ এনে যে ভাবে ফেলে রাখা হয়েছে তাতেও পরিকল্পনার ছাপ পেয়েছে পুলিশ।

জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, কলেজের মাঠটি উলুবেড়িয়া-আমতা রাস্তার ধারেই। মাঠের এক প্রান্তে রাস্তার ধারে এমনভাবে দেহটি ফেলে রাখা হয়েছিল যাতে মনে হয় সে গাড়ি চাপা পড়ে মারা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, ভারী কিছু জিনিস দিয়ে ওই কিশোরী মাথায় আঘাত করা হয়েছে এবং ওই কিশোরীর ওড়না দিয়েই তার গলায় ফাঁস দেওয়া হয়েছে। এটি কোনও পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থে খুন কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে সমস্যা এখনও একটাই, তা হল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ওই কিশোরীর পরিচয় জানা যায়নি। কিশোরীর নাম-ধাম জানা গেলে রহস্য অনেকটাই কাটবে বলে পুলিশের দাবি।

এ দিকে যে বেসরকারি বিএড কলেজের মাঠে ওই কিশোরীর দেহ পাওয়া গিয়েছিল তার দুই নিরাপত্তারক্ষীকে পুলিশ মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে তাদের কাছ থেকে সেরকম কোনও সূত্র মেলেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal murder after rape police aamta
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE