Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

এক মদ্যপ যুবকের বেয়াদপির প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হলেন এক প্রৌঢ়। ওই যুবক তাঁকে ধাক্কা মারে এবং বুকে লাথি মারে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে আরামবাগের চুনাইট গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম হারাধন ঘোষ (৫৭)। তিনি আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের কর আদায়কারী ছিলেন। তাঁকে খুনের অভিযোগে ওই রাতেই পুলিশ অষ্ট দলুই নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে।

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৪ ০১:৫৯
Share: Save:

প্রৌঢ় খুন, যুবক ধৃত

নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ

এক মদ্যপ যুবকের বেয়াদপির প্রতিবাদ করতে গিয়ে খুন হলেন এক প্রৌঢ়। ওই যুবক তাঁকে ধাক্কা মারে এবং বুকে লাথি মারে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে আরামবাগের চুনাইট গ্রামের ঘটনা। নিহতের নাম হারাধন ঘোষ (৫৭)। তিনি আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের কর আদায়কারী ছিলেন। তাঁকে খুনের অভিযোগে ওই রাতেই পুলিশ অষ্ট দলুই নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাঁর বাম হাঁটুতে ছড়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার ধৃতকে আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল-হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আরান্ডি বাজার থেকে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল অষ্ট। হারাধনবাবুদের বাড়ির সামনে দিয়ে সে যখন যাচ্ছিল, তখন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। হারাধনবাবুর ছেলে তপন পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, অষ্ট তাঁদের পরিবারের সকলের নাম ধরে কটূক্তি করছিল দেখে তিনি বাধা দিতে যান। অষ্ট তাঁকে মারতে গেল হারাধনবাবু থামাতে যান। তখনই অষ্ট তাঁর উপরে চড়াও হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, জোরে ধাক্কা দেওয়াতেই পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান হারাধনবাবু। কিছু ক্ষণ পরই তাঁর মৃত্যু হয়।

উদয়-শ্যামলের মারে মৃত্যু গুড়িয়ার, গেটম্যান

নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া

গুড়াপের দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমের সম্পাদক উদয়চাঁদ কুমার এবং তার ঘনিষ্ঠ শ্যামল ঘোষ যে আবাসিক মেয়েদের উপর অত্যাচার করত, এ বার আদালতে দাঁড়িয়ে তা জানালেন সেখানকার তৎকালীন গেটম্যান ময়ূর পাত্র। শুক্রবার সাক্ষ্য দিতে এসে চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফার্স্ট কোর্ট) অরূপ বসুর এজলাসে ময়ূরবাবু জানান, দেড় বছর ওই হোমে তিনি গেটম্যানের কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘শ্যামল ঘোষ হোমের কেউ ছিল না। তা সত্ত্বেও উদয়চাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বের অছিলায় প্রায়ই হোমে আসত। উদয়-শ্যামল দু’জনেই আবাসিক মেয়েদের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। গুড়িয়া খুব সুন্দরী ছিল। ওরা দু’জন গুড়িয়াকে ভীষণ মারধর করে। তার ফলেই গুড়িয়া মারা যায়, তার পরে তারা ওঁর দেহ মাটিতে পুঁতে দেয়,’’ সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ রায়চৌধুরী জানান, এই নিয়ে ওই মামলায় এখনও পর্যন্ত ২১ জন সাক্ষ্য দিলেন।

ভাল বাজেট, প্রচারে বিজেপি

নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর

এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেট সাধারণ মানুষের ভালর জন্যই হয়েছে, তথ্য দিয়ে বিশ্লেষণ করে তা সাধারণ মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করল বিজেপি। শুক্রবার হুগলির শ্রীরামপুর রবীন্দ্রভবনে দলের তরফে বাজেট পর্যালোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য পেশ করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শমীক ভট্টাচার্য, ধনপথ অগ্রবাল প্রমুখ। শমীকবাবু বলেন, ‘‘এ বার বাজেট জনমুখী হয়েছে। সমাজের সব ক্ষেত্রের মানুষের কথাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ভেবেছেন।”

আলু বোঝাই লরি ছিনতাই গোঘাটে

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মারধর করে চালক এবং মালিককে নামিয়ে দিয়ে গোঘাটের কুলকি থেকে একটি আলু বোঝাই লরি ছিনতাই হলে গেল বৃহস্পতিবার রাতে। শুক্রবার দুপুরে এই মর্মে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন লরি-মালিক গৌতম সরকার। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। ডব্লুবি-৪১ বি ৯৫৪৫ নম্বরের ওই লরিটির খোঁজে বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করা হয়েছে। গোঘাটের খাটুলের একটি হিমঘর থেকে লরিতে আলু নিয়ে গৌতমবাবুরা বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ মালদহের ইটাহারের উদ্দেশে রওনা হন। পুলিশের কাছে অভিযোগে গৌতমবাবু জানান, কুলকির কাছে একটি পিক-আপ ভ্যান তাঁদের লরির পথ আটকায়। জনা চারেক যুবক নেমে কেন তাদের গাড়িকে পাশ দেওয়া হচ্ছিল না তার জবাবদিহি চায়। এ নিয়ে বচসা বাধে। তার পরেই মারধর করে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লরিচালক রামনারায়ণ সাঁই এবং গৌতমবাবুকে নামিয়ে মারধর করে চোখ বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখে। গুলি করার হুমকি দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা লরি নিয়ে চম্পট দেয়।

ব্যবসায়ীর বাড়িতে গুলি, ধৃত অভিযুক্ত

বালির পশ্চিম শান্তিনগরের ব্যবসায়ীর বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বুকুনি ওরফে সুভাষ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে বেলুড়ের চাঁদমারি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা ও নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে কয়েক কেজি গাঁজাও। পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে হুগলির কোন্নগর ও রিষড়া এলাকায় আস্তানা বানিয়েছিল বুকুনি। হুগলিতে আশ্রয় নেওয়ার পরে টাকার জন্য সে বালি গ্রামঞ্চলের বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ফোন করে ভয় দেখাতে শুরু করে। অভিযোগ, পশ্চিম শান্তিনগরের ব্যবসায়ী নাড়ুগোপাল ঘোষের কাছ থেকেও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে সে। তিনি না দেওয়ায় গত ১১ জুন রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বুকুনি ও তার দল। এমনকী চলে আসার সময় দুই রাউন্ড গুলিও চালায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE