Advertisement
০৫ মে ২০২৪

টুকরো খবর

গুড়াপের ‘দুলাল স্মৃতি সংসদ’ হোমের সম্পাদক উদয়চাঁদ কুমার এবং তার ঘনিষ্ঠরা যে আবাসিক মহিলাদের উপরে অত্যাচার করত, সে কথা বিচারককে জানালেন আরও এক আবাসিক। চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অরূপ বসুর এজলাসে গুড়িয়া হত্যা-মামলায় মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বর্তমানে জাঙ্গিপাড়ার একটি হোমে থাকা ‘দুলাল স্মৃতি সংসদ’-এর এক প্রাক্তন আবাসিক উদয়চাঁদদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের কথা জানান।

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৪ ০১:৩০
Share: Save:

অত্যাচার হত হোমে, জানালেন আবাসিক
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া

গুড়াপের ‘দুলাল স্মৃতি সংসদ’ হোমের সম্পাদক উদয়চাঁদ কুমার এবং তার ঘনিষ্ঠরা যে আবাসিক মহিলাদের উপরে অত্যাচার করত, সে কথা বিচারককে জানালেন আরও এক আবাসিক। চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অরূপ বসুর এজলাসে গুড়িয়া হত্যা-মামলায় মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বর্তমানে জাঙ্গিপাড়ার একটি হোমে থাকা ‘দুলাল স্মৃতি সংসদ’-এর এক প্রাক্তন আবাসিক উদয়চাঁদদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের কথা জানান। ওই আবাসিক আদালতকে জানান, গুড়িয়া হত্যায় মূল অভিযুক্ত শ্যামল ঘোষ হোমের কেউ না হয়েও ঘন ঘন হোমে আসত। সব অভিযুক্তকেই তিনি চেনেন। তিনি বলেন, “বড়দা (উদয়চাঁদ), শ্যামল ঘোষ, শেষ নাজিমুদ্দিন এবং সোমনাথ মেয়েদের মারধর করত। ওরা গুড়িয়ার উপরে অত্যাচার করতে চেয়েছিল। ওঁর মাথায় লাঠি দিয়ে বারেবারে মারে। তাতেই গুড়িয়া মারা যায়। দেহ হোমের সিঁড়ির নীচে রেখে দেওয়া হয়েছিল। দেহ থেকে গন্ধ বের হলে পরের দিন হোমের পিছনে পুঁতে দেওয়া হয়।” এ দিন সোনারপুর থানার আইসি আদালতে বার্তা পাঠিয়ে দাবি করেন, তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানার নির্দেশ পাননি। সোনারপুরের একটি হোমের আবাসিকদের যথাযথ পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে সোমার আদালতে হাজির না-করানোয় ওই আইসি-র বিরুদ্ধে সোমবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। মামলার সরকারি আইনজীবী বিদ্যুত্‌ রায়চৌধুরী বলেন, “ওই থানায় যে বার্তা পাঠানো হয়েছিল, তা আমরা আদালতকে দেখাই। বিচারক আগামী ৭ অগস্ট ওই অফিসারকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শনোর নির্দেশ দিয়েছেন।”

প্রতারণার অভিযোগে ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট

নিজেকে কংগ্রেস নেত্রী পরিচয় দিয়ে রেলে চাকরি করে দেওয়ার নামে কয়েক জন যুবকের থেকে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় গোঘাটের বেঙ্গাই-চৌমাথা মোড়ে মুনমুন দাস নামে ওই মহিলার গাড়ি আটকান কয়েক জন প্রতারিত যুবক। তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কামারপুকুর গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার সাহা নামে এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মুনমুনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃতের বাড়ি ডানকুনিতে। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। মহিলার অসুস্থতার কারণে বিচারক তাঁকে জামিন দেন। হুগলি জেলা কংগ্রেস নেতা দিলীপ নাথ বলেন, “ওই নামে আমাদের দলে কেউ নেই। অসত্‌ উপায়ে কেউ রোজগার করলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।” পুলিশ জানায়, গত জানুয়ারি মাস থেকে ওই মহিলা প্রায়ই কামারপুকুর মঠে আসছিলেন। সেই সূত্রে স্থানীয় কয়েক রেলে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি এক লক্ষ টাকা করে চান বলে অভিযোগ। কয়েক জন যুবক তাঁকে ৫০ হাজার টাকা করে দেন। পুলিশে অভিযোগ হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE