এই সেই আইটিআই কলেজ ভবন। চেঙ্গাইলে তোলা নিজস্ব চিত্র।
তিন বছর আগে শেষ হয়েছিল চেঙ্গাইলে প্রস্তাবিত আইটিআই কলেজের ভবন নির্মাণের কাজ। ইতিমধ্যে দু’দু’বার উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ-সহ অন্য পরিকাঠামো তৈরি হল না এখনও। ফলে, তিন বছর কেটে গেলেও পঠনপাঠন চালু করা যায়নি হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় প্রথম নির্মিত এই আইটিআই-এ। রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কারিগরি শিক্ষার উন্নতির জন্য প্রতিটি ব্লকে আইটিআই তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাম আমলে নির্মিত চেঙ্গাইলের আইটিআই কলেজ এখনও চালু চালু না হওয়ায় স্থানীয়দের ক্ষোভ রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট দফতরের ভূমিকা নিয়েও। আইটিআই কলেজ চালু হলে হাওড়া, কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০০৭-’০৮ সাল নাগাদ চেঙ্গাইলের ল্যাডলো জুটমিল সংলগ্ন এলাকায় সাড়ে পাঁচ একর জমিতে এই শিক্ষাকেন্দ্রটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। ২০০৯ সাল নাগাদ নির্মাণ কাজও শুরু হয়। ২০১১ সালে কলেজের দোতলা ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়। শুরু হয় অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরি। কিন্তু সেই কাজ আজও শেষ হয়নি। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, কলেজের গেটে পাহারা। ভিতরে নানা দিকে আগাছার জঙ্গল। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগের সরঞ্জাম। জানা গেল বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলছিল। পুজোর ছুটিতে কাজ বন্ধ রয়েছে। রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর কলেজে ভাবে ইলেকট্রিক্যাল, ড্রাফটসম্যান, মেকানিক্যাল, ফিটারের মতো পাঠক্রম চালু হওয়ার কথা। এ ছাড়া কলেজ যেহেতু পাট শিল্পাঞ্চলের মধ্যে তাই এখানে চটশিল্পের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তবে, কলেজে আসবাবপত্র, ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণের যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা এখনও হয়নি। হয়নি প্রশিক্ষক নিয়োগও। অবশ্য সমস্ত প্রক্রিয়াই চলছে বলে দফতরের দাবি।
কলেজ চালু না হওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক মোহন মণ্ডল। তিনি বলেন, “আমরা জমি-সহ অন্য সমস্যার সমাধান করে কলেজের নির্মাণ কাজ শেষ করেছিলাম। কিন্তু তারপর নতুন সরকার এসে কলেজ যাতে শীঘ্র চালু করা যায় সে বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি।” তবে চালু না হলেও নতুন সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে ইতিমধ্যেই দু’বার কলেজের উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরে কারামন্ত্রী হায়দার আজিজ সফি ও উলুবেড়িয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুলতান আহমেদ উদ্বোধন করেন। কলেজ চালু নিয়ে সাংসদের আশ্বাস, “কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। সামান্য কিছু বাকি আছে। তা শেষ হলেই কলেজে পঠনপাঠন চালু হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy