দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে উপপ্রধান-সহ ১২ জন তৃণমূল সদস্য অনাস্থা এনেছিলেন। কিন্তু ভোটাভুটির জন্য সোমবার ব্লক প্রশাসনের ডাকা বিশেষ সভায় ওই সদস্যদের কেউই হাজির হলেন না। ফলে, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল।
তাঁদের গরহাজির হওয়া নিয়ে উপপ্রধান মিঠু বাগ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত জানান, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের নির্দেশ মতোই ওই সদস্যেরা বিশেষ সভায় যাননি। দলের কারও বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার আগে বিষয়টি দলীয় স্তরে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অনাস্থার পক্ষে কেউ বিশেষ সভায় হাজির না হওয়ায় প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ হয়েছে এবং পঞ্চায়েতে পূর্বাবস্থাই বজায় থাকছে জানিয়ে বিডিও প্রণব সাঙ্গুই বলেন, “যিনি প্রধান ছিলেন তিনিই ওই পদে থাকবেন। সরকারি নিয়মমতো আগামী এক বছর ওই পদে কোনও অনাস্থা আনা যাবে না।”
গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধান কাজি নিজামুদ্দিন ওরফে কোচনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মিঠুবাবুরা অনাস্থা আনেন। ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব দু’পক্ষের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এর পরেই বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মুকুলবাবু সকলকে নিয়ে নিজাম প্যালেসে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই তিনি দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না এবং বিশেষ সভায় সামিল হওয়া যাবে না বলে ওই সদস্যদের নির্দেশ দেন। আগামী ৭ অক্টোবর ফের সকলকে নিয়ে তিনি আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন। সেখানেই ঠিক হবে, প্রধানকে পদত্যাগ করতে বলা হবে কি না।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে প্রধান কাজি নিজামুদ্দিনের দাবি, “দলের নির্দেশ মতোই কাজ করব। পদত্যাগ করতে বলা হলে পদ আঁকড়ে থাকব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy