রক্ষণা-বেক্ষণার অভাবে উদয়নারায়ণপুরের বকপোতার ইকোপার্ক জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে। পার্কটির এমন অবস্থা হওয়ায় এলাকায় শিশুদের খেলার জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাছাড়া রাতের অন্ধকারে এই পার্কটিতে বসছে সমাজ বিরেধীদের আড্ডা। এর ফলে সমস্যায় পড়েছে এলাকাবাসীরা।
বামআমলে ২০০৭ সাল নাগাদ উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে জঙ্গলপাড়া গ্রামের বকপোতায় দামোদরের তীরে মনোরম পরিবেশে লম্বায় ১৫০ ফুট ও চওড়ায় ৫০ ফুট এই পার্কটি তৈরি হয়েছিল। পার্কের মধ্যে শিশুদের দোলনা, স্লিপ, ওয়াটার ওয়ে সহ বিনোদনের সমস্ত কিছুই ছিল। তার সঙ্গে ছিল বসবার জায়গা। যেখানে প্রৌঢ় থেকে শুরু করে শিশু এবং মাঝবয়সী, এলাকার বহু মানুষ সকাল ও বিকেল সময় কাটানোর জন্য আসত। কিন্তু আজ তা পুরোপুরি বন্ধ। দেখাশোনার অভাবে দোলনা, স্লিপ সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পার্কের মধ্যে শৌচাগারের অবস্থা শোচনীয়। জলের ব্যবস্থা নেই। সেটি এখন নোংরা এবং দুর্গন্ধ হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এই সমস্ত কারণে শিশুরা পার্কে খেলাধুলা করতে পারছে না। শুধু তাই নয় বর্তমানে এরমধ্যেই রাতের অন্ধকারে চলছে সমাজবিরোধীদের জুয়া, সাট্টা, মদের আসর। তার পাশাপাশি পার্কের ভিতরে চলছে দেহব্যবসা। অসামাজিক কাজকর্মের ফলে এই পার্কটির সামনে দিয়ে রাতে যায়াযাতেরও সমস্যা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা তরুণ বিশ্বাস, কার্তিক প্রামানিক বলেন, “যখন পার্কটি তৈরি হয়েছিল তখন শিশুদের মনে আনন্দের জোয়ার উঠেছিল। বর্তমানে পার্কটির এতই খারাপ অবস্থা যে কেউ এখানে আসতে পারেনা।”
তবে এই এলাকাটি বেশ জমজমাট। প্রায় পাঁচলক্ষ মানুষের বসবাস এখানে। এলাকায় জঙ্গলপাড়া, নৌকাপুর, উদয়নারায়ণপুরের বহু বাড়ির শিশুরা এসে এই পাকর্টিতে খেলাধুলা করত। সেই সঙ্গে তাদের অভভিাবকদের ভীড় জমত এই পার্কটিতে। পরষ্পর মেলবন্ধনের একটি সেতু ছিল এই পার্কটি। কিন্তু এখন পার্কটিতে আগাছায় ভরে গিয়েছে। মশা-মাছির উপদ্রব। পার্কে না আসলেও আশেপাশের বাড়ির লোকেদের যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে পুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দেবশ্রী অধিকারি বলেন, “পার্কটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে রক্ষণা-বেক্ষণার ব্যপারে পঞ্চায়েত সমিতিতে জানাবো।” উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চৈতালি সাঁতরা বলেন, “বকপোতার বেহাল অবস্থা সম্পর্কে জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy