সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ। গুড়াপের ‘দুলাল স্মৃতি সংসদ’ হোমের আবাসিক গুড়িয়া হত্যা-মামলায় আজ, বুধবার অভিযুক্তদের জবানবন্দি নেবে আদালত।
চুঁচুড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফার্স্ট কোর্ট) অরূপ বসুর এজলাসে মামলাটি চলছে। এক মাস ধরে সাক্ষ্য নেওয়া হয় মোট ২৭ জনের। তার মধ্যে হোমের সুপার থেকে শুরু করে সেখানকার কর্মী বা আবাসিকদের অনেকেই আদালতে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, হত্যা-মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শ্যামল ঘোষ হোমের কেউ ছিল না। কিন্তু হোমের সম্পাদক উদয়চাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে সে প্রায় রোজই হোমে আসত। উদয়চাঁদ-শ্যামল মিলে আবাসিক মেয়েদের উপর অত্যাচার করত। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় গুড়িয়াকে খুন করে দেহ পুঁতে দেওয়া হয় বলে সেখানকার তৎকালীন একাধিক আবাসিক বিচারকের কাছে জানান। গত ১২ অগস্ট জেলা পুলিশ এবং সিআইডি-র চার তদন্তকারী অফিসারের সাক্ষ্য নেয় আদালত।
মামলার সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ রায়চৌধুরী বলেন, “মোট ২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বুধবার বিচারক আসামীদের জবানবন্দি নেবেন।”
দু’বছর আগে হুগলির গুড়াপের খাজুরদহ-মিল্কি এলাকার ওই হোম চত্বরের মাটি খুঁড়ে সেখানকার বছর বত্রিশের আবাসিক, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী গুড়িয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর উপর অত্যাচার চালিয়ে খুন করে দেহ পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসকের সই জাল করে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ তৈরি করে গুড়িয়ার মৃত্যু স্বাভাবিক বলে দেখানোর চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। মূল অভিযুক্ত ওই হোমের সম্পাদক উদয়চাঁদ কুমার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ শ্যামল ঘোষ ছাড়াও আরও আটজন গ্রেফতার হয়। হোমটি সিল করে দেয় রাজ্য সরকার। আবাসিকদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের বিভিন্ন হোমে। জেলা পুলিশ এবং সিআইডি-র হাত ঘুরে মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। অভিযুক্ত ১০ জনের বিরুদ্ধেই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy