রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ে তৈরি হবে সংঘ। পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ জীবিকা মিশন বা আনন্দধারা প্রকল্পের অধীনেই এই সব সংঘ তৈরি করা হবে। সংঘগুলিকে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা দেবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।
সংঘের গঠন প্রণালী ও কার্যধারা কী হবে তা জানতে গত শনিবার হাওড়ার বাগনানের বাঙালপুরে বাগনান-১ মহিলা বিকাশ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির দফতরে পরিদর্শনে আসেন রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিক এবং ১৮টি জেলার জেলা গ্রামোন্নয়ন সেলের প্রকল্প আধিকারিকেরা। উল্লেখ্য, বাগনানের এই ক্রেডিট সোসাইটি বহু বছর ধরে মহিলাদের সংগঠিত করে নানা উন্নয়নমূলক কাজ করে চলেছে। একদিকে তারা যেমন মহিলাদের স্বনির্ভর করতে ঋণ দেয় অন্য দিকে মহিলা পরিচালিত ব্যাঙ্কও তারা চালাচ্ছে সাফল্যের সঙ্গে।
জেলা গ্রামোন্নয়ন সেলের প্রকল্প আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “আনন্দধারা প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে যে ভাবে সংঘ গঠন করার কথা বলা হয়েছে তাদের প্রস্তাবিত কার্যধারার সঙ্গে বাগনানের এই সোসাইটির কাজের অনেকটাই মিল রয়েছে। সেই কারণেই এই সংস্থায় পরিদর্শন করা হয়। পুরোপুরি না হলেও এই সোসাইটির আদলে গ্রাম পঞ্চায়েতভিত্তিক সংঘ গঠন করার কথা ভাবা হচ্ছে।”
এই রাজ্যে বছর দুই হল চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকরী করে গড়ে তোলার কথা। আপাতত রাজ্য জুড়ে কতগুলি স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে এবং সেগুলির মধ্যে কতগুলি কাজ করছে তার তালিকা তৈরি হচ্ছে বলে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর। এই তালিকা তৈরির কাজ চূড়ান্ত হয়ে গেলেই গ্রাম পঞ্চায়েতভিত্তিক সংঘ গড়ে তোলার কাজ শুরু হবে। সংঘ গড়ে তোলার আগে হাতে কলমে বিষয়টি জানার জন্যই বাগনানের সোসাইটিটি পরিদর্শন করা হল বলে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা জানান।
সোসাইটির সভাপতি মাধুরী ঘোষ বলেন, “আধিকারিকেরা আমাদের শুধু প্রশ্নই করেননি, গ্রামে গ্রামে গিয়ে আমাদের কাজকর্ম কেমন চলছে তা সরেজমিনে পরিদর্শনও করেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy