Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

চালু হয়নি লঞ্চঘাটের জেটি, সমস্যায় যাত্রীরা

প্রায় দেড় মাস আগে গঙ্গায় বানের তোড়ে ভেঙে গিয়েছিল বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লস্টার লঞ্চঘাটের জেটি। কিন্তু এখনও সেই জেটি চালু হল না। ফলে, সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে যে সব নিত্যযাত্রী ওই ঘাট দিয়ে সাইকেল নিয়ে পারাপার করতেন, তাঁদের বাড়তি ভাড়া গুনে ঘুরপথে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

এ ভাবেই চলছে পারাপার।—নিজস্ব চিত্র।

এ ভাবেই চলছে পারাপার।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাউড়িয়া শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৫ ০১:১৪
Share: Save:

প্রায় দেড় মাস আগে গঙ্গায় বানের তোড়ে ভেঙে গিয়েছিল বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লস্টার লঞ্চঘাটের জেটি। কিন্তু এখনও সেই জেটি চালু হল না। ফলে, সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে যে সব নিত্যযাত্রী ওই ঘাট দিয়ে সাইকেল নিয়ে পারাপার করতেন, তাঁদের বাড়তি ভাড়া গুনে ঘুরপথে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির পক্ষে ওই ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্যামল নাথ জানান, জেটি নির্মাণের কাজ চলছে। গ্যাংওয়ের কাজ শেষ হয়েছে। পন্টুনের কাজ বাকি রয়েছে। জেটিটি দু’পাশে আরও বাড়ানো হচ্ছে যাতে বানের সময় অতিরিক্ত চাপ সামলাতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি যত তাড়তাড়ি সম্ভব জেটিটি নির্মাণ করে চালু করা যায়। তা না হলে আমাদের অস্থায়ী ভাবে যাত্রীদের পারাপারের বন্দোবস্ত করার জন্য রোজ ৬ হাজার টাকা করে ভাড়া দিতে হচ্ছে।’’ রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, ওই জেটি তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। শীঘ্রই চালু হবে।

গত ২১ মার্চ গঙ্গায় বানের তোড়ে ওই জেটিটি ভেঙে উল্টে যায়। গ্যাংওয়ে এবং পন্টুন ছিটকে পড়ে। এর আগে ২০০১ সালের ২০ মার্চ এবং ২০১২ সালের ৮ এপ্রিলও জেটিটি ভেঙেছিল। ১৯৮৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাউড়িয়া-বজবজ ঘাট পারাপারের জন্য লঞ্চ পরিষেবা চালু হয়। সেই সময় বাউড়িয়া ফেরিঘাটে জেলা পরিষদ নির্মিত কংক্রিটের জেটি ছিল। এর পর হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির তত্ত্বাবধানে জেটিটি তৈরি হয়। কিন্তু এর মধ্যে তিন বার ভাঙল জেটিটি। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, বাউড়িয়ার দিকে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ার ফলে বান প্রবল আকার নেয়। তার জেরেই বারবার জেটিটি ভাঙছে।

এ বার জেটিটি ভাঙার পর থেকে ওই ঘাটের কিছুটা দূরে দু’টি বড় নৌকাকে জোড়া লাগিয়ে অস্থায়ী ভাবে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানামার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। তাঁরা জানান, যে ভাবে দু’টি নৌকার মাধ্যমে লঞ্চে ওঠানামা করতে হচ্ছে, তা বিপজ্জনক। কেননা, নৌকায় ওঠানামার সময়ে কাঠের তক্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। তাতে জলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।

বুড়িখালির বাসিন্দা রবীন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লঞ্চঘাটের জেটিটি ভেঙে যাওয়ার ফলে আমরা প্রচণ্ড সমস্যায় পড়েছি। অতিরিক্ত পয়সা খরচ করে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে।’’ বজবজ হালদারপাড়ার বাসিন্দা জয় ভক্ত বলেন, ‘‘আমার দোকান বাউড়িয়া স্টেশনের কাছে। রোজ পারাপার হতাম মোটরবাইক নিয়ে। কিন্তু জেটি ভেঙে যাওয়ার ফলে বাইক বা সাইকেল পারাপার সম্পূর্ণ বন্ধ। দুর্ভোগ বেড়েছে। কবে যে জেটিটি হবে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bauria fort gloster launch jetty bauria launch jetty
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE