Advertisement
১১ মে ২০২৪

টুকরো খবর

পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদাকে গুলি করল ভাই। চুঁচুড়ার কৃষ্ণপুর এলাকার ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দাদাকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। থানায় দেওরের বিরুদ্ধে দাদাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন বৌদি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে আহত বড় ছেলে সঞ্জয় সূতারের বাড়িতে বালতিতে জল ভরাকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি নন্দরানি দেবীর সঙ্গে বড় বৌমা শুক্লাদেবীর ঝগড়া বাধে।

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৫৬
Share: Save:

ঝগড়ার মধ্যেই দাদাকে গুলি ভাইয়ের
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া

পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদাকে গুলি করল ভাই। চুঁচুড়ার কৃষ্ণপুর এলাকার ঘটনা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দাদাকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। থানায় দেওরের বিরুদ্ধে দাদাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন বৌদি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে আহত বড় ছেলে সঞ্জয় সূতারের বাড়িতে বালতিতে জল ভরাকে কেন্দ্র করে শাশুড়ি নন্দরানি দেবীর সঙ্গে বড় বৌমা শুক্লাদেবীর ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার মধ্যে সঞ্জয়বাবু এবং তার ভাই রঞ্জিত মাথা গলালে তা আরও চরমে ওঠে। ঝগড়ার মধ্যেই ছোট ভাই রঞ্জিত আচমকা রিভলবার বের করে দাদাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে তা লক্ষভ্রষ্ট হয়। ফের গুলি চালালে তা সঞ্জয়বাবুর মাথায় লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। পরিবারের অন্য সদস্যদের চিতকারে এবং গুলির আওয়াজ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে বেগতিক বুঝে রঞ্জিত পালিয়ে যায়। বাসিন্দারাই সঞ্জয়বাবুকে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসু বলেন, ‘‘রঞ্জিতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ শুক্লাদেবী বলেন, ‘‘রঞ্জিত খুব বদমেজাজি ও বাজে লোকদের সঙ্গে ওঠাবসা করে। সব পরিবারেই একটু আধটু অশান্তি হয়ে থাকে। রঞ্জিত মাঝেমধ্যেই বাড়ির লোকজনদের হুমকি দিত। কিন্তু তাই বলে, এ দিন ঝগড়ার মধ্যে এ ভাবে গুলি চালিয়ে যে ওর দাদাকে মারতে যাবে তা ভাবতে পারিনি।’’ সঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘ঝগড়ার মধ্যে যে হঠাত্‌ই ভাই গুলি চালাবে তা বুঝতে পারিনি। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই ভাইয়ের কার্যকলাপে একটু অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছিল।’’ মা নন্দরানিদেবী বলেন, ‘‘এমনটা যে ঘটবে বুঝতে পারিনি। কোথা থেকে রঞ্জিত বন্দুক পেল তা জানি না।’’

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমাপ্তি দামোদর মেলার
নিজস্ব সংবাদদাতা • আমতা

শনিবার শেষ হল দামোদর মেলা। হাওড়ার আমতার রসপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই মেলা শুরু হয় ৭ ডিসেম্বর। রকমারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং হাজার হাজার মানুষের সমাগমে এক সপ্তাহ ধরে মুখর হয়েছিল মেলা প্রাঙ্গন। মেলায় সরকারের বিভিন্ন বিভাগের স্টল ছাড়াও ছিল বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার স্টল। তাতে ছিল নানারকমের প্রদর্শনী। এ বারে মেলার থিম ছিল রামধনুর ছোঁয়ায় ও ছটায় রকমারি রঙ। মূল প্রাঙ্গনে তিরিশটি রঙের ব্যবহারে তৈরি হয়েছিল প্রদর্শনীশালা।

শেষ দিনেও কেনাকাটার ভিড়। ছবি: সুব্রত জানা।

আর সাতটি রঙের সমন্বয়ে তৈরি মঞ্চের নামকরণ করা হয়েছিল রামধনূ। দামোদর নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই মেলা দেখতে হাওড়া এবং হুগলির বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু দর্শনার্থী এসেছিলেন। প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তাঁরা। একইসঙ্গে ভিড় করেন জিলিপি, ফুচকা খেতে। খেলনার দোকানগুলিতে কচিকাঁচাদের ভিড় ছিল দেখার মত। তাদের জন্য ছিল হাঁদা ভোঁদার স্টল। আয়োজক অগ্রগতির পক্ষে তপন মণ্ডল এবং মুস্তাক মণ্ডল বলেন, “দামোদরের তীরে এই মেলা বসে। তাই এর নামকরণ করা হয়েছে দামোদর মেলা। আমরা মেলার আয়োজন করলেও মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নিয়ে প্রাণ সঞ্চার করেন।”

শেষ উত্তরপাড়া বইমেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • উত্তরপাড়া

আটদিন ব্যাপী উত্তরপাড়া বইমেলা শেষ হল রবিবার। মেলা শুরু হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর। এ বার রীতিমতো উত্‌সবের মেজাজ ছিল বইমেলাকে কেন্দ্র করে। সমন্বয় আয়োজিত চতুদর্শ এই বইমেলার আয়োজন হয় স্টেশন সংলগ্ন মনমোহন উদ্যানে (সিএ মাঠ)। উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। মেলা কমিটির কর্ণধার দিলীপ যাদব জানান, এ বার মোট ৮৬টি বইয়ের স্টল বসেছে। সাংস্কৃতিক মঞ্চে নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক-সহ নানা অনুষ্ঠানও হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আলোচনাচক্রও ছিল। দিলীপবাবু বলেন, “যতই কম্পিউটার বা অন্য আধুনিক প্রযুক্তি আসুক না কেন, বইয়ের জনপ্রিয়তা এতটুকু যে কমেনি, আরও একবার এখানে তা প্রমাণ হয়ে গেল।’’ বিভিন্ন দিনে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য, সাধন চট্টোপাধ্যায়, অমর মিত্র, বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের অধ্যাপক শ্যামল চক্রবর্তী, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়, উজ্জ্বল বিশ্বাস প্রমুখ।

ডাম্পারে পিষ্ট শিশু, অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • পোলবা

ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। দুর্ঘটনার পরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে দীর্ঘক্ষন পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবা থানার কাশশ্বেওড়া কামারশালা এলাকায় চুঁচুড়া-তারকেশ্বর রোডে। পুলিশ জানায় মৃতের নাম সঙ্গীতা চৌধুরী(৩)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কাশশ্বেওড়া গ্রামের বাসিন্দা অশোক চৌধুরীর মেয়ে সঙ্গীতা বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল। খেলতে খেলতে হঠাত্‌ই রাস্তার উপর চলে আসে। সেই সময় চুঁচুড়ার দিক থেকে একটি ডাম্পার দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় সঙ্গীতাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ডাম্পারের চালক গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেও জনতা ধাওয়া করলে মাঝরাস্তায় গাড়ি ফেলে চালক পালিয়ে যায়। এরপরই ঘটনার প্রতিবাদে এবং ক্ষতিপূরণের দাবীতে মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ শুরু করে জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ডাম্পারের মালিকের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে রাত আটটা নাগাদ জনতা অবরোধ তুলে নেয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ ডাম্পারটিকে আটক করেছে।

জওয়ানকে মারধর, ধৃত ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

সীমান্তরক্ষীকে মারধরের অভিযোগে এক মহিলা-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর সীমান্তের আরশিকারি গ্রামে। পুলিশ জানায়, এ দিন রাত ৮টা নাগাদ সীমান্ত লাগোয়া পদ্মবিলা গ্রামের ওই ৪ জন আরশিকারির উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন নিত্যানন্দকাটি গ্রামে। ওই সময় ১৫২ নম্বর ব্যাটালিয়ানের এক জওয়ান তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরিচয়পত্র না থাকায় তাদের বাধা দেয় ওই জওয়ান। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শুরু হয় হাতাহাতি। বিএসএফের অভিযোগ, আচমকা ওই জওয়ানের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE