Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

যুগলের নিগ্রহে পুলিশের জালে ৩

স্থানীয় থানা এবং রেল পুলিশ অভিযানে নেমেছিল একযোগে। যৌথ চেষ্টায় ফলও মিলল কিছুটা। বালি স্টেশনের কাছে এক তরুণীকে কটূক্তি এবং তাঁর সঙ্গীকে মারধরের ঘটনার এক দিন পরে গ্রেফতার করা হল তিন যুবককে। মঙ্গলবার গভীর রাতে বালিরই ছোট দুর্গাপুর থেকে তাদের ধরা হয়েছে বলে পুলিশি সূত্রের খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৬
Share: Save:

স্থানীয় থানা এবং রেল পুলিশ অভিযানে নেমেছিল একযোগে। যৌথ চেষ্টায় ফলও মিলল কিছুটা। বালি স্টেশনের কাছে এক তরুণীকে কটূক্তি এবং তাঁর সঙ্গীকে মারধরের ঘটনার এক দিন পরে গ্রেফতার করা হল তিন যুবককে। মঙ্গলবার গভীর রাতে বালিরই ছোট দুর্গাপুর থেকে তাদের ধরা হয়েছে বলে পুলিশি সূত্রের খবর।

সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ অফিস থেকে ফেরার পথে বান্ধবীকে বালি স্টেশনে ট্রেনে তুলে দিতে যাচ্ছিলেন তমাল নন্দী নামে বরাহনগরের এক যুবক। দু’জনেই সল্টলেকের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। অভিযোগ, রেললাইন ঘেঁষা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় কয়েক জন দুষ্কৃতী ওই তরুণীর উদ্দেশে কটূক্তি করে। তমাল প্রতিবাদ করায় তাঁর সঙ্গে বচসা বেধে যায়। বেশ কিছু ক্ষণ তর্কাতর্কি চলার পরে সঙ্গিনীকে নিয়ে তমাল কোনও ভাবে স্টেশনের কাছে পৌঁছে যান।

ইতিমধ্যে আরও সঙ্গী জোগাড় করে দুষ্কৃতীরা পিছন থেকে এসে তমালদের উপরে হামলা চালায়। রেললাইনের পাশে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয় তমালকে। বাধা দিতে গেলে তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে ফের অশালীন আচরণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকেও ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই তরুণী। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে তরুণীর জ্ঞান ফেরানোর ব্যবস্থা হয়।

বালি স্টেশন সংলগ্ন ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের দাপটে বাসিন্দারা তটস্থ। তাঁদের অভিযোগ, বারবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার মধ্যে ফের তরুণ-তরুণীর নিগ্রহে জনতার ক্ষোভ চরমে ওঠে। ঘটনার রাতেই বালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুগল। নড়েচড়ে বসে পুলিশ। যেখানে হামলা হয়েছে, সেটি রেল পুলিশের অধীন। তাই রেল পুলিশের কর্মী-অফিসারেরাও বালি থানার সঙ্গে তদন্তে নামে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তেরা বালি স্টেশন লাগোয়া ছোট দুর্গাপুরের বাসিন্দা। মঙ্গলবার রাতে প্রথমে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ফাঁদ পেতে আরও দু’জনকে ধরে বালি থানার পুলিশ। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ধৃতদের চিহ্নিত করার জন্য ওই তরুণ-তরুণীকে ডাকা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE