Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

টুকতে বাধা, কলেজে ভাঙচুর পরীক্ষার্থীদের

পরীক্ষার হলে টুকতে বাধা দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তারই জেরে তাঁদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি ও কলেজের জানলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজে। অভিযুক্ত মগরাহাট কলেজের ছাত্ররা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৪ ০০:৩৬
Share: Save:

পরীক্ষার হলে টুকতে বাধা দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তারই জেরে তাঁদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি ও কলেজের জানলা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজে। অভিযুক্ত মগরাহাট কলেজের ছাত্ররা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার ফকিরচাঁদ কলেজে বিএ পার্ট-১ ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। ওই কলেজে আসন পড়েছে মগরাহাট কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। এ দিন এডুকেশন পরীক্ষা ছিল। বিকেল ৩টে-৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলেছে। শেষ হওয়ার ঠিক পনেরো মিনিট আগে মগরাহাট কলেজের ছাত্ররা টোকাটুকি শুরু করে বলে অভিযোগ। সে সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে গার্ড দিচ্ছিলেন শিক্ষিকারা। তাঁরা বাধা দেওয়ায় ওই ছাত্রেরা কটূক্তি করে।

পরে খাতা জমা দিয়ে বেরিয়ে এসে আর একপ্রস্ত চোটপাট করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর। মারধরের হুমকি দেয়। শিক্ষিকাদের দাবি, রাস্তা থেকে পাথর তুলে ছুড়ে মারা হয় কলেজ লক্ষ্য করে। জানলার কাচ ভাঙে। উল্টে দেওয়া হয় ক্লাসের চেয়ার-টেবিল। পরে পুলিশ গিয়ে অবস্থা সামাল দেয়।

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই ডায়মন্ড হারবার স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বাড়ি ফেরেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, স্টেশনে ছেলে ওত পেতে আছে। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপরে হামলা হতে পারে। যাদবপুর-বাঘাযতীন এলাকার ওই ১২-১৩ জন আতঙ্কিত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে পরে ডায়মন্ড হারবার জিআরপি পুলিশ নিয়ে গিয়ে থানায় আশ্রয় দেয়। অনেক রাতে তাঁরা ট্রেন ধরে ফেরেন। আটকে পড়া এক শিক্ষক বলেন, “টোকাটুকিতে বাধা দেওয়া হলে ছাত্ররা ঝামেলা পাকায়। সে সব নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু এ বার তারা বাড়াবাড়ি করেছে।” ফকিরচাঁদ কলেজের অধ্যক্ষ সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, “সমস্ত বিষয়টি পুলিশ এবং কলকাতা ইউনিভার্সিটিকে জানানো হয়েছে।” মগরাহাট কলেজ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, এমন ঘটনা তাঁরা জানেন না।

পাচারের অভিযোগে ধৃত। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছর কুড়ির এক যুবতীকে গুজরাটের সুরতে পাচারের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল হাবরা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম জয়ন্ত দাস ও শান্তনু পোদ্দার। তাদের বাড়ি গোবরডাঙায়। বনগাঁ থেকে হাবরা থানার পুলিশ মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতার করেছে। বারাসত জেলা আদালতের নির্দেশে তারা এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গোবরডাঙার বিধানপল্লির বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে জানুয়ারি মাসে আলাপ হয় জয়ন্ত দাসের। তখন সে নিজের নাম বলেছিল জয় বিশ্বাস। পরিচয়ের থেকে প্রেম। ২জুলাই ওই যুবতীকে বিয়ে করবে বলে জয়ন্ত তাকে নিয়ে পালিয়ে বনগাঁয় একটি বাড়িতে ওঠে। সেখানে তিন দিন থাকার পরে জয়ন্ত মেয়েটিকে সুরতে নিয়ে যায়। যুবতী বুঝতে পারেন, তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি পালিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য পরে বাড়ি ফেরেন। ৭জুলাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই যুবতী। আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই চক্রের দু’জনকে গ্রেফতার করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE