দু’দিন নিখোঁজ থাকার পরে রায়মঙ্গল নদীর চর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জেরে রতন মণ্ডল নামে (২৬) ওই যুবককে মেরে নদীর জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে হিঙ্গলগঞ্জের দক্ষিণ দুলদুলি গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে দক্ষিণ দুলদুলি গ্রামের বাসিন্দা রতন মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এলাকারই বাসিন্দা চপলা মণ্ডলের। তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। সোমবার সন্ধ্যায় রতনের মোবাইলে ফোন আসে। ‘একটু আসছি’ বলে বেরিয়ে যান ওই যুবক। অনেক ক্ষণ পরেও বাড়ি না ফেরায় তাঁর স্ত্রী অনিমা খোঁজাখঁুজি শুরু করেন। কিন্তু কোনও খোঁজ না মেলায় মঙ্গলবার তিনি চপলা ও তাঁর বাড়ির কয়েক জনের বিরুদ্ধে হিঙ্গলগঞ্জ থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ গ্রেফতার করে চপলা ও তাঁর শ্বশুর ভোলাকে। চপলার স্বামী সঞ্জয় তাঁর শাশুড়ি শান্তি মণ্ডলের খোঁজ চলছে।
ওই রাতেই ভোলাবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে এক সময়ে ভেঙে পড়েন তিনি। পুলিশের দাবি, জেরায় ভোলাবাবু জানিয়েছেন, কাজের সূত্রে ছেলে মাঝে মধ্যেই বাড়িতে ফিরতে পারে না। সেই সুযোগ নিয়ে রতন তাদের বাড়িতে আসতেন। জোর করে এবং ভয় দেখিয়ে তার বৌমার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করতেন। বাড়িতে আসতে বারণ করা সত্ত্বেও সে কথা শোনেনি রতন। এ সবের জেরে মারধর করা হয়েছিল রতনকে। সে সময়ে নিজেকে বাঁচাতেই ওই যুবক জলে ঝাঁপ দেন।
এ দিন ভোরে সন্দেশখালির হাটগাছা গ্রামে নদীর চরে এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসীরা সন্দেশখালি থানায় খবর দেয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। খবর যায় হিঙ্গলগঞ্জ থানায়। অনিমা স্বামীর দেহ শনাক্ত করেন। স্বামীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা অবশ্য মেনে নিতে নারাজ অনিমাদেবী। তিনি বলেন, “কোন ব্যক্তিগত কারণে মোবাইলে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করে ভোলা মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকজন মিলে পিটিয়ে খুন করেছে স্বামীকে। তারপরে দেহ নদীর জলে ফেলে দেয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy