অনুমতি ছাড়াই এগোল মিছিল। ছবি: দিলীপ নস্কর।
সিপিএমের ‘সম্প্রীতি মহামিছিল’ ও সভা নিয়ে জট পাকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটে। দলের নেতাদের দাবি, মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। অন্য দিকে পুলিশের বক্তব্য, স্থানীয় একটি পঞ্চায়েতে অনাস্থা ভোটের জন্যই মিছিলের দিন ক্ষণ পিছোতে বলা হয়েছিল। শেষমেশ অবশ্য অনুমতি ছাড়াই মিছিল-সভা হয়েছে বৃহস্পতিবার। মাইকও বেজেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ-প্রশাসন কী কোনও পদক্ষেপ করবে? তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি কর্তারা।
এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ ঢোলাহাটের ভগবানপুর থেকে একটি মিছিল বেরিয়ে তিন কিলোমিটার ঘুরে পৌঁছয় ঢোলাহাট বাজারে। একই সময়ে পাথরবেড়িয়া থেকে আরও একটি মিছিল প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ ঘুরে পৌঁছয় একই জায়গায়। মিছিলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা এসেছিলেন। বেশ কয়েক হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল। প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন দলের নেতা রাহুল ঘোষ, চিত্তরঞ্জন মণ্ডল, রইসউদ্দিন মোল্লা, শকুন্তলা পাইক প্রমুখ। পেশোয়ারের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বক্তারা।
মদন মিত্রের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তুলে কান্তিবাবু রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, “বিজেপি ও কংগ্রেস বড়লোকের দল। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা পাঠাচ্ছে না কেন্দ্র।” রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তাঁর বক্তব্য, ইমামদের ভাতা দিতে চাইলে দিক। কিন্তু পাকিস্তান বা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সে দেশের সরকার এমন ভাতা দিতে চাইলে কী দাঁড়াবে? রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ নিগ্রহের একাধিক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বক্তারা এ দিন মঞ্চ থেকে জানান, এ দিন মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ-প্রশাসন। এ ভাবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার তথা শাসক দল। কাকদ্বীপ মহকুমা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, লিখিত অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছিল, স্থানীয় নেতাজি পঞ্চায়েতে এ দিনই অনাস্থা ভোট ছিল। ফলে একই দিনে মিছিল করলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সে জন্যই কর্মসূচির দিন পরিবর্তন করতে সিপিএম নেতৃত্বকে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে এ দিনই মিছিল হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy