দুর্ঘটনার পরে। মঙ্গলবার, বাসন্তী হাইওয়েতে। —নিজস্ব চিত্র।
তীব্র গতিতে বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল যাত্রী বোঝাই একটি এসি বাস। বেপরোয়া ভাবে প্রতিটি গাড়িকে ওভারটেক করছিলেন চালক। প্রতি বারই আঁতকে উঠছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু কে কার কথা শোনে? এ ভাবে কিছুক্ষণ চলার পরে আশঙ্কাই সত্যি হল! উল্টো দিক থেকে আসা বালি বোঝাই লরির সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ হয় বাসটির। বিকট শব্দে চমকে উঠে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়েরা দেখেন, দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে বাসের সামনের অংশ। তার মধ্যেই চালকের আসনের নীচ থেকে ঝুলছে ভাঙা পায়ের অংশ। সেখানে বসে কাতরাচ্ছেন সুভাষ গ্রামের বাসিন্দা ওই বাসের চালক কমল হালদার। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বাসন্তী হাইওয়ের কাঁটাতলায়। আহত হন চালক-সহ বারো জন যাত্রী। পুলিশ জানায়, দশ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছাড়া হলেও বাসচালক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
এক যাত্রী জানান, বাসটি সায়েন্স সিটি থেকে কাঁটাতলার দিকে যাচ্ছিল। বাসন্তী হাইওয়েতে ওঠার পর থেকেই গাড়ির গতি বাড়তে থাকে। শুধু এই বাস নয়, ওই রাস্তায় বেশির ভাগ যানবাহনই এ ভাবে যাতায়াত করে বলে অভিযোগ। এ দিনও সে ভাবেই ডব্লিউবিএসটিসি-র এসি বাসটি যাচ্ছিল। কিন্তু কাঁটাতলার কাছে বাসটি সামনের একটি গাড়িকে ওভারটেক করে সম্পূর্ণ উল্টো লেনে চলে যায়। তার পরেই সামনে থেকে লরি চলে আসায় বাসচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তীব্র গতিতে আসা লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে যায় বাসের সামনের অংশ। ভেঙে যায় সমস্ত সিটও।
স্থানীয় যুবক আক্রাম মোল্লা জানান, বিকট শব্দ শুনে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, বাসের চারদিকে কাচ ছড়িয়ে। রাস্তায় রক্ত মাখা স্পিডোমিটার। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পিছনের সিটও ভেঙে গিয়েছে।
স্থানীয়েরা জানান, যাত্রীদের নামানো হলেও চালককে বার করা যাচ্ছিল না। স্টিয়ারিং ভেঙে আটকে ছিল তাঁর পায়ে। বাসের সামনের অংশ ভেঙে চালকের পায়ে ঢুকে গিয়েছে। এর পরে উদ্ধারকারী ওই দলের এক জন বাড়ি থেকে শাবল এনে চালককে বার করার চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে পৌঁছয় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গ্যাস কাটার দিয়ে লোহা কেটে চালককে উদ্ধার করা হয়। এর জেরে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় ব্যাপক যানজট হয়। যান চলাচল স্বাভাবিক হতে হতে বেজে যায় দুপুর দু’টো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy