Advertisement
১১ মে ২০২৪

ব্যবসায়ীদের দাবি আদায়ে আইন অমান্য কাকদ্বীপে

সেতু তৈরি করতে গিয়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন চলছে কাকদ্বীপে। বুধবার আইন অমান্য আন্দোলনে সামিল হন সিপিএম-কংগ্রেস-ফরওয়ার্ড ব্লক-পিডিএস নেতৃত্ব। ‘আমরা আক্রান্ত’-র তরফেও প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হয়েছিল প্রতিনিধি হিসাবে। প্রায় হাজার আড়াই লোকের জমায়েত হয় কাকদ্বীপ চৌরাস্তার মোড়ে।

জমায়েতে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: দিলীপ নস্কর।

জমায়েতে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: দিলীপ নস্কর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৫০
Share: Save:

সেতু তৈরি করতে গিয়ে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন চলছে কাকদ্বীপে। বুধবার আইন অমান্য আন্দোলনে সামিল হন সিপিএম-কংগ্রেস-ফরওয়ার্ড ব্লক-পিডিএস নেতৃত্ব। ‘আমরা আক্রান্ত’-র তরফেও প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হয়েছিল প্রতিনিধি হিসাবে। প্রায় হাজার আড়াই লোকের জমায়েত হয় কাকদ্বীপ চৌরাস্তার মোড়ে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তাঁরা থানার দিকে এগোতে গেলে সকলকে গ্রেফতার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে জামিনে ছেড়েও দেওয়া হয় সকলকে।

এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তথা কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার বক্তব্য, এ মাসের ১৭-১৮ তারিখের মধ্যে ৯১৮ জনকে ৫ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে নামখানা বিডিও অফিস থেকে বিলি করা হবে। দু’দিকের মার্কেট কমপ্লেক্স করার জন্য জমি পাওয়া গিয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

নামখানায় হাতানিয়া-দোহানিয়া নদীর উপরে একটি সেতুর দাবি দীর্ঘ দিনের। সম্প্রতি কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে সেতুর কাজ শুরু হতে চলেছে। নামখানায় ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য ছিল, পুজো পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক। কিন্তু প্রশাসন অনঢ় অবস্থান নেওয়ায় ব্যবসায়ীরা নিজেরাই নির্মাণ ভেঙে ফেলতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই অনেকে সরেও গিয়েছেন। কিন্তু সরকারি ভাবে এখনও তাঁদের ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন নিয়ে কোনও প্যাকেজ জানানো হয়নি। তা নিয়েই ক্ষোভ আছে ব্যবসায়ী মহলে।

এ দিন দুপুরে আইন অমান্য উপলক্ষে হাজির ছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী-সহ অনেকে। কাকদ্বীপ মোড়ে তাঁদের অবস্থানের জেরে নামখানা ও কাকদ্বীপ থেকে কলকাতার মধ্যে গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল বেশ কিছু ক্ষণ। কান্তিবাবু বলেন, “আমরা কেউ সেতু তৈরির বিপক্ষে নই। আমার আমলেও সুন্দরবনে বহু সেতু তৈরি হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার এখনও কোনও পদক্ষেপ করছে না কেন, তা বুঝতে পারছি না। ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE