অভিযোগ, এই আমবাগানেই ধর্ষণ করা হয় তরুণীকে।
বাজার করে ফেরার পথে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে তাঁরই পরিচিত এক যুবক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপার।
অভিযোগ, হাত-পা বেঁধে ওই তরুণীকে গণধর্ষণের পরে অভিযুক্তদেরই এক জন তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। খুনের হুমকি দেওয়ায় বছর একুশের ওই তরুণী সে সময়ে চেঁচামেচি করেননি। রাতে সেখান থেকে পালিয়ে তিনি ডাকাডাকি করে লোকজন জড়ো করেন। মঙ্গলবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় গণধর্ষণে অভিযুক্ত দু’জনকে। অন্য এক জন ধরা পড়ে বুধবার সকালে। আদালত ধৃতদের সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ওই তরুণী বারাসত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। গণধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেগঙ্গা থানার ওসি পলাশ চট্টোপাধ্যায়।
ধৃতদের মধ্যে এক জনকে তোলা হচ্ছে আদালতে। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ জানায়, ওই তরুণীর বাড়ি দেগঙ্গায়। বাজার করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এসেছিলেন বেড়াচাঁপায়। তরুণীর অভিযোগ, বাড়ি ফেরার ট্রেকার-অটো পাচ্ছিলেন না তিনি। বাদশা ওরফে বাপ্পা মণ্ডল নামে পরিচিত এক যুবক তাঁকে সাইকেলে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। বাপ্পার সঙ্গে বেড়াচাঁপার নন্দীপাড়ার বাসিন্দা আয়েব আলি ও সাইফুল মণ্ডল ছিল। তাদের অবশ্য চিনতেন না বলেই দাবি ওই তরুণীর। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ওই তিন জন তাঁকে ভুলিয়ে ভালিয়ে সাইকেলে তুলে নেয়। কিছু দূর যাওয়ার পরে নন্দীপাড়ায় একটি আমবাগানের দিকে এগোতে থাকে তারা। বিপদ বুঝে তরুণী প্রতিবাদ করেন। গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে খুনের হুমকি দিয়ে আমবাগানে হাত-পা বেঁধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে তরুণীর অভিযোগ।
তরুণীর অভিযোগ, রাত ১টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাইফুলের বাড়িতে। বাড়িতে ছিলেন সাইফুলের মা। তাঁকে সাইফুল বলে, রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারেননি ওই তরুণী। সেটা শুনে ওই যুবকের মা ভাতও বেড়ে দেন মেয়েটিকে। সে খাবার অবশ্য মুখে তোলেননি তিনি। রাত আড়াইটে নাগাদ সকলে ঘুমিয়ে পড়লে ঘরের দরজা খুলে পালান ওই তরুণী। তিনি বলেন, “বাপ্পাকে আমি চিনতাম। বাড়ি পৌঁছে দেবে, এই মিথ্যা বলে আমার উপরে ওরা সকলে অত্যাচার করেছে। এলাকায় বাপ্পার নাম খারাপ। ওকে বিশ্বাস করেই ভুল করলাম!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy