Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভোটে ব্যর্থতা, তবু বিকল্পের অভাবে গৌতমই সম্পাদক

ফের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক হলেন গৌতম দেবই। এখনও তিনি শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ না হলেও জেলা সিপিএমে এই মুহূর্তে কোনও গ্রহণযোগ্য নাম উঠে আসেনি। দলীয় নেতৃত্বের একাংশ চেয়েছিলেন জেলার দায়িত্ব ছেড়ে গৌতমবাবু এ বার সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বে মনোনিবেশ করুন। কিন্তু দলের সঙ্কটের সময় জেলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁকেই ফের আরও এক দফায় জেলা সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:১৯
Share: Save:

ফের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক হলেন গৌতম দেবই। এখনও তিনি শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ না হলেও জেলা সিপিএমে এই মুহূর্তে কোনও গ্রহণযোগ্য নাম উঠে আসেনি। দলীয় নেতৃত্বের একাংশ চেয়েছিলেন জেলার দায়িত্ব ছেড়ে গৌতমবাবু এ বার সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বে মনোনিবেশ করুন। কিন্তু দলের সঙ্কটের সময় জেলার পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁকেই ফের আরও এক দফায় জেলা সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে।

তাঁর বিগত তিন বছরের কার্যকালে গৌতমবাবু একাধিক বড় কর্মসূচি নিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে মহাকরণ ও নবান্ন অভিযান হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থ সংগ্রহ ও জনসংযোগের কাজও করেছেন দলীয় কর্মীরা। অতি সম্প্রতি জেলার শিল্পাঞ্চলে একের পর এক দখল হয়ে যাওয়া কার্যালয়ও পুনরুদ্ধার করেছেন তাঁরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভোটে তার সুফল সিপিএম পায়নি। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তা আবার প্রমাণিত হয়েছে। শনিবার পানিহাটিতে জেলা সম্মেলনে জবাবি ভাষণে গৌতমবাবু নিজেও স্বীকার করেন, মানুষের মধ্যে সিপিএমের গ্রহণযোগ্যতা বাড়েনি। জমায়েত ও আন্দোলন করেও মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা কেন বাড়ল না, তার কারণ খুঁজবে জেলা কমিটি।

এ বারের কমিটিতে বেশ কিছু নতুন মুখ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুরনো জেলা কমিটি থেকে কল্যাণ রায়, অশোক রায়, দীপক মিত্রের মতো ১৮ জন নেতা বাদ পড়েছেন। এসেছেন নতুন ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে আছেন জেলা পরিষদের বিরোধী নেতা ইমতিয়াজ হোসেন, স্বরূপনগরের হামালুদ্দিন আহমেদ, উত্তর ব্যারাকপুরের অচিন্ত্য দত্ত, রাজারহাটের শুভজিৎ দাশগুপ্ত, বিধাননগরের প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোকনগরের সত্যসেবী কর প্রমুখ। এই প্রথম কোনও হিন্দি ও উর্দুভাষী শ্রমিক নেতা ওই জেলা কমিটিতে নেই। কয়েকটি এলাকা থেকে বহু সদস্য নেওয়া হলেও বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকা থেকে কাউকে কমিটিতে নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ। ৬৭ জনের জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। তিন জনকে পরে নেওয়া হবে।

প্রয়াত অমিতাভ বসুর জায়গায় পরবর্তী রাজ্য কমিটিতে কে যাবেন, তা নিয়ে জেলা নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখনও মেটেনি। তড়িৎ তোপদার, নেপালদেব ভট্টাচার্যের মতো রাজ্য কমিটির সদস্যরা সকলেই যে হেতু শিল্পাঞ্চলের নেতা, তাই এ বার বসিরহাটের এক নেতাকে রাজ্য কমিটিতে সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন গৌতমবাবু। কিন্তু শিল্পাঞ্চলের নেতারা আবার দলের এক প্রাক্তন বিধায়ককে রাজ্য কমিটিতে পাঠানোর পক্ষপাতী। এই বিতর্কের মীমাংসা কিন্তু হয়নি। সম্মেলনে এ দিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু দলে ‘বৃদ্ধতন্ত্রে’র সমালোচনা করে বলেন, “সকলেই যদি কমিটিতে থাকেন, তা হলে আগামী দিনে আমাকে সরে গিয়ে দেখাতে হবে পদে না থেকেও কাজ করা যায়!” এর পরেও জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সকল প্রবীণ সদস্যই নতুন কমিটিতে থেকে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal gautam deb cpm
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE